3. সে কবরের মধ্যে বাস করতো এবং কেউ তাকে শিকল দিয়েও আর বেঁধে রাখতে পারতো না।
4. কেননা লোকে বার বার তাকে বেড়ী ও শিকল দিয়ে বাঁধতো, কিন্তু সে শিকল ছিঁড়ে ফেলতো এবং বেড়ী ভেঙ্গে খণ্ডবিখণ্ড করতো; কেউ তাকে বশ করতে পারতো না।
5. আর সে দিনরাত সব সময় কবরে ও পর্বতে থেকে চিৎকার করতো এবং পাথর দিয়ে নিজেই নিজেকে আঘাত করতো।
6. সে দূর থেকে ঈসাকে দেখে দৌড়ে আসল, তাঁকে সেজ্দা করলো এবং উচ্চরবে চেঁচিয়ে বললো,
7. হে ঈসা, সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র পুত্র, আপনার সঙ্গে আমার সম্পর্ক কি? আমি আপনাকে আল্লাহ্র কসম দিচ্ছি, আমাকে যাতনা দেবেন না।
8. কেননা তিনি তাকে বলেছিলেন, হে নাপাক রূহ্, এই ব্যক্তি থেকে বের হও।
9. তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার নাম কি? জবাবে সে বললো, আমার নাম বাহিনী,
10. কারণ আমরা অনেকে আছি। পরে সে বিস্তর ফরিয়াদ করলো, যেন তিনি তাদেরকে সেই অঞ্চল থেকে পাঠিয়ে না দেন।
11. সেই স্থানে পর্বতের পাশে একটি বড় শূকরের পাল চরছিল।
12. আর তারা ফরিয়াদ করে বললো, ঐ শূকরগুলোর মধ্যে প্রবেশ করতে আমাদেরকে পাঠিয়ে দিন।
13. তিনি তাদেরকে অনুমতি দিলেন। তখন সেই নাপাক রূহ্রা বের হয়ে শূকরদের মধ্যে প্রবেশ করলো; তাতে সেই শূকর-পাল, কমবেশ দুই হাজার শূকর, মহাবেগে দৌড়ে ঢালু পার দিয়ে সাগরে গিয়ে পড়লো এবং সাগরে ডুবে মারা গেল।
14. তখন যারা সেগুলোকে চরাচ্ছিল, তারা পালিয়ে গিয়ে নগরে ও গ্রামে গ্রামে গিয়ে সংবাদ দিল। তখন কি ঘটেছে তা দেখবার জন্য লোকেরা সেখানে আসল।
15. তারা ঈসার কাছে এসে দেখতে পেল যে, সেই বদ-রূহে পাওয়া ব্যক্তি, যাকে বাহিনীতে পেয়েছিল, সে কাপড় পরে সুস্থ মনে বসে আছে; তাতে তারা ভয় পেল।
16. আর ঐ বদ-রূহে পাওয়া লোকটির ও শূকর-পালের ঘটনা যারা দেখেছিল, তারা তাদেরকে সমস্ত বৃত্তান্ত বললো।