18. পরে তিনি নৌকায় উঠছেন, এমন সময়ে যে ব্যক্তিকে বদ-রূহে পেয়েছিল, সে তাঁকে ফরিয়াদ করলো, যেন তাঁর সঙ্গে থাকতে পারে।
19. কিন্তু তিনি তাকে অনুমতি দিলেন না, বরং বললেন, তুমি বাড়িতে তোমার আত্মীয়দের কাছে চলে যাও এবং প্রভু তোমার জন্য যে যে মহৎ কাজ করেছেন ও তোমার প্রতি যে করুণা করেছেন তা তাদেরকে জানও।
20. তখন সে প্রস্থান করে, ঈসা তার জন্য যে যে মহৎ কাজ করেছিলেন তা দিকাপলিতে তবলিগ করতে লাগল; তাতে সকলেই আশ্চর্য জ্ঞান করলো।
21. পরে ঈসা যখন নৌকায় করে পুনরায় পারে গেলেন তখন তাঁর কাছে বিস্তর লোকের জমায়েত হল; তখন তিনি সমুদ্র-তীরে ছিলেন।
22. আর সমাজের নেতাদের মধ্যে যায়ীর নামে এক জন এসে তাঁকে দেখে তাঁর পায়ে পড়লেন,
23. এবং অনেক ফরিয়াদ করে বললেন, আমার মেয়েটি মারা যেতে বসেছে, আপনি এসে তার উপরে হাত রাখুন, যেন সে সুস্থ হয়ে বাঁচে।
24. তখন তিনি তার সঙ্গে চললেন এবং অনেক লোক তাঁর পিছনে পিছনে চললো ও তাঁর উপরে চাপাচাপি করে পড়তে লাগল।
25. আর একটি স্ত্রীলোক বারো বছর থেকে প্রদর রোগে আক্রান্ত হয়েছিল,
26. অনেক চিকিৎসকের দ্বারা অনেক কষ্ট ভোগ করেছিল এবং সর্বস্ব ব্যয় করেও কোনরূপ সুস্থ হয় নি, বরং আরও অসুস্থ হয়েছিল।
27. সে ঈসার বিষয় শুনে ভিড়ের মধ্যে তাঁর পিছনের দিকে এসে তাঁর কাপড় স্পর্শ করলো।
28. কেননা সে বললো, আমি যদি কেবল তাঁর কাপড় স্পর্শ করতে পারি, তবেই সুস্থ হবো।
29. আর তৎক্ষণাৎ তার রক্তস্রাব শুকিয়ে গেল; আর সে যে ঐ রোগ থেকে মুক্ত হয়েছে তা তার শরীরে টের পেল।
30. ঈসা তৎক্ষণাৎ অন্তরে জানতে পেলেন যে, তাঁর মধ্য থেকে শক্তি বের হয়েছে, তাই ভিড়ের মধ্যে মুখ ফিরিয়ে বললেন, কে আমার কাপড় স্পর্শ করলো?