11. সেই স্থানে পর্বতের পাশে একটি বড় শূকরের পাল চরছিল।
12. আর তারা ফরিয়াদ করে বললো, ঐ শূকরগুলোর মধ্যে প্রবেশ করতে আমাদেরকে পাঠিয়ে দিন।
13. তিনি তাদেরকে অনুমতি দিলেন। তখন সেই নাপাক রূহ্রা বের হয়ে শূকরদের মধ্যে প্রবেশ করলো; তাতে সেই শূকর-পাল, কমবেশ দুই হাজার শূকর, মহাবেগে দৌড়ে ঢালু পার দিয়ে সাগরে গিয়ে পড়লো এবং সাগরে ডুবে মারা গেল।
14. তখন যারা সেগুলোকে চরাচ্ছিল, তারা পালিয়ে গিয়ে নগরে ও গ্রামে গ্রামে গিয়ে সংবাদ দিল। তখন কি ঘটেছে তা দেখবার জন্য লোকেরা সেখানে আসল।
15. তারা ঈসার কাছে এসে দেখতে পেল যে, সেই বদ-রূহে পাওয়া ব্যক্তি, যাকে বাহিনীতে পেয়েছিল, সে কাপড় পরে সুস্থ মনে বসে আছে; তাতে তারা ভয় পেল।
16. আর ঐ বদ-রূহে পাওয়া লোকটির ও শূকর-পালের ঘটনা যারা দেখেছিল, তারা তাদেরকে সমস্ত বৃত্তান্ত বললো।
17. তখন তারা তাদের সীমানা থেকে প্রস্থান করতে তাঁকে ফরিয়াদ করতে লাগল।
18. পরে তিনি নৌকায় উঠছেন, এমন সময়ে যে ব্যক্তিকে বদ-রূহে পেয়েছিল, সে তাঁকে ফরিয়াদ করলো, যেন তাঁর সঙ্গে থাকতে পারে।
19. কিন্তু তিনি তাকে অনুমতি দিলেন না, বরং বললেন, তুমি বাড়িতে তোমার আত্মীয়দের কাছে চলে যাও এবং প্রভু তোমার জন্য যে যে মহৎ কাজ করেছেন ও তোমার প্রতি যে করুণা করেছেন তা তাদেরকে জানও।
20. তখন সে প্রস্থান করে, ঈসা তার জন্য যে যে মহৎ কাজ করেছিলেন তা দিকাপলিতে তবলিগ করতে লাগল; তাতে সকলেই আশ্চর্য জ্ঞান করলো।
21. পরে ঈসা যখন নৌকায় করে পুনরায় পারে গেলেন তখন তাঁর কাছে বিস্তর লোকের জমায়েত হল; তখন তিনি সমুদ্র-তীরে ছিলেন।
22. আর সমাজের নেতাদের মধ্যে যায়ীর নামে এক জন এসে তাঁকে দেখে তাঁর পায়ে পড়লেন,
23. এবং অনেক ফরিয়াদ করে বললেন, আমার মেয়েটি মারা যেতে বসেছে, আপনি এসে তার উপরে হাত রাখুন, যেন সে সুস্থ হয়ে বাঁচে।
24. তখন তিনি তার সঙ্গে চললেন এবং অনেক লোক তাঁর পিছনে পিছনে চললো ও তাঁর উপরে চাপাচাপি করে পড়তে লাগল।
25. আর একটি স্ত্রীলোক বারো বছর থেকে প্রদর রোগে আক্রান্ত হয়েছিল,