6. কিন্তু সূর্য উঠলে পর তা পুড়ে গেল এবং তার শিকড় না থাকাতে শুকিয়ে গেল।
7. আর কতগুলো বীজ কাঁটাবনের মধ্যে পড়লো, তাতে কাঁটাবন বেড়ে তা চেপে রাখল, তাতে ফল ধরলো না।
8. আর কতগুলো বীজ উত্তম ভূমিতে পড়লো, তা অঙ্কুরিত হয়ে ও বেড়ে উঠে ফল দিল; কতগুলো ত্রিশ গুণ, কতগুলো ষাট গুণ ও কতগুলো শত গুণ ফল দিল।
9. পরে তিনি বললেন, যার শুনবার কান আছে, সে শুনুক।
10. যখন তিনি নির্জনে ছিলেন, তাঁর সঙ্গীরা সেই বারো জনের সঙ্গে তাঁকে দৃষ্টান্তগুলোর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন।
11. তিনি তাঁদেরকে বললেন, আল্লাহ্র রাজ্যের নিগূঢ় তত্ত্ব তোমাদেরকে দেওয়া হয়েছে; কিন্তু ঐ বাইরের লোকদের কাছে সকলই দৃষ্টান্ত দ্বারা বলা হয়ে থাকে;
12. যেন তারা দেখেও দেখতে না পায় এবং শুনেও বুঝতে না পারে, পাছে তারা ফিরে আসে ও তাদেরকে মাফ করা যায়।
13. পরে তিনি তাদেরকে বললেন, এই দৃষ্টান্ত কি বুঝতে পার না? তবে কেমন করে অন্য সকল দৃষ্টান্ত বুঝতে পারবে?
14. সেই বীজ বপনকারী কালামরূপ বীজ বপন করে।
15. পথের পাশে যারা, তারা এমন লোক, যাদের মধ্যে কালাম-বীজ বপন করা হয়; আর যখন তারা শুনে, তৎক্ষণাৎ শয়তান এসে তাদের মধ্যে যা বপন করা হয়েছিল সেই কালাম হরণ করে নিয়ে যায়।
16. আর তেমনি যারা পাথুরে ভূমিতে বপন করা বীজের মত, তারা এমন লোক, যারা কালামটি শুনে তৎক্ষণাৎ আনন্দের সঙ্গে তা গ্রহণ করে;
17. আর তাদের অন্তরে শিকড় নেই বলে তারা অল্পকাল মাত্র স্থির থাকে, পরে সেই কালামের জন্য কষ্ট কিংবা নির্যাতন আসলে তৎক্ষণাৎ পিছিয়ে যায়।
18. আর যারা কাঁটাবনের মধ্যে বপন করা বীজের মত, তারা এমন লোক,
19. যারা কালাম শুনেছে, কিন্তু সংসারের চিন্তা, ধনের মায়া ও অন্যান্য বিষয়ের অভিলাষ ভিতরে গিয়ে ঐ কালাম চেপে রাখে, সেজন্য তাতে কোন ফল ধরে না।
20. আর যারা উত্তম ভূমিতে বপন করা বীজের মত, তারা এমন লোক, যারা সেই কালাম শুনে গ্রাহ্য করে এবং কেউ ত্রিশ গুণ, কেউ ষাট গুণ ও কেউ শত গুণ ফল দেয়।
21. তিনি তাদেরকে আরও বললেন, কাঠার নিচে কিংবা পালঙ্কের নিচে রাখার জন্য কেউ কি প্রদীপ আনে? না কি তা প্রদীপ-আসনের উপরে রাখার জন্য?