12. যেন তারা দেখেও দেখতে না পায় এবং শুনেও বুঝতে না পারে, পাছে তারা ফিরে আসে ও তাদেরকে মাফ করা যায়।
13. পরে তিনি তাদেরকে বললেন, এই দৃষ্টান্ত কি বুঝতে পার না? তবে কেমন করে অন্য সকল দৃষ্টান্ত বুঝতে পারবে?
14. সেই বীজ বপনকারী কালামরূপ বীজ বপন করে।
15. পথের পাশে যারা, তারা এমন লোক, যাদের মধ্যে কালাম-বীজ বপন করা হয়; আর যখন তারা শুনে, তৎক্ষণাৎ শয়তান এসে তাদের মধ্যে যা বপন করা হয়েছিল সেই কালাম হরণ করে নিয়ে যায়।
16. আর তেমনি যারা পাথুরে ভূমিতে বপন করা বীজের মত, তারা এমন লোক, যারা কালামটি শুনে তৎক্ষণাৎ আনন্দের সঙ্গে তা গ্রহণ করে;
17. আর তাদের অন্তরে শিকড় নেই বলে তারা অল্পকাল মাত্র স্থির থাকে, পরে সেই কালামের জন্য কষ্ট কিংবা নির্যাতন আসলে তৎক্ষণাৎ পিছিয়ে যায়।
18. আর যারা কাঁটাবনের মধ্যে বপন করা বীজের মত, তারা এমন লোক,
19. যারা কালাম শুনেছে, কিন্তু সংসারের চিন্তা, ধনের মায়া ও অন্যান্য বিষয়ের অভিলাষ ভিতরে গিয়ে ঐ কালাম চেপে রাখে, সেজন্য তাতে কোন ফল ধরে না।
20. আর যারা উত্তম ভূমিতে বপন করা বীজের মত, তারা এমন লোক, যারা সেই কালাম শুনে গ্রাহ্য করে এবং কেউ ত্রিশ গুণ, কেউ ষাট গুণ ও কেউ শত গুণ ফল দেয়।
21. তিনি তাদেরকে আরও বললেন, কাঠার নিচে কিংবা পালঙ্কের নিচে রাখার জন্য কেউ কি প্রদীপ আনে? না কি তা প্রদীপ-আসনের উপরে রাখার জন্য?
22. কেননা এমন গুপ্ত কিছুই নেই যা প্রকাশিত হবে না; এমন লুকানো কিছুই নেই যা প্রকাশ পাবে না।
23. যার শুনবার কান আছে, সে শুনুক।
24. আর তিনি তাদেরকে বললেন, তোমরা যা শুনছো তাতে মনযোগ দাও। তোমরা যেভাবে মেপে দাও, সেভাবেই তোমাদের জন্য মাপা যাবে এবং তোমাদেরকে আরও দেওয়া যাবে।
25. কারণ যার আছে তাকে আরও দেওয়া যাবে আর যার নেই তার যা আছে তাও তার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া যাবে।
26. তিনি আরও বললেন, আল্লাহ্র রাজ্য এ রকম: এক জন ব্যক্তি যেন ভূমিতে বীজ বুনলো।
27. পরে রাতে ঘুমিয়ে থেকে ও দিনে জেগে থেকে সময় কাটায়, ইতোমধ্যে ঐ বীজ অঙ্কুরিত হয়ে বেড়ে উঠে, কিন্তু কিভাবে তা বেড়ে উঠে তা সে জানে না।
28. ভূমি নিজে নিজেই ফল উৎপন্ন করে; প্রথমে অঙ্কুর, পরে শীষ, তারপর শীষের মধ্যে পূর্ণ শস্য।
29. কিন্তু ফল পাকলে সে তৎক্ষণাৎ কাস্তে লাগায়, কেননা শস্য কাটার সময় উপস্থিত।
30. আর তিনি বললেন, আমরা কিসের সঙ্গে আল্লাহ্র রাজ্যের তুলনা করবো? কোন্ দৃষ্টান্ত দ্বারাই বা তা ব্যক্ত করবো?