52. তারা তাকে ধরলো, কিন্তু সে সেই চাদরখানি ফেলে উলঙ্গই পালিয়ে গেল।
53. পরে তারা ঈসাকে মহা-ইমামের কাছে নিয়ে গেল; তাঁর সঙ্গে প্রধান ইমামেরা, প্রাচীনবর্গরা ও আলেমেরা সকলে সমবেত হল।
54. আর পিতর দূরে থেকে তাঁর পিছনে পিছনে ভিতরে মহা-ইমামের প্রাঙ্গণ পর্যন্ত গেলেন এবং পদাতিকদের সঙ্গে বসে আগুন পোহাতে লাগলেন।
55. তখন প্রধান ইমামেরা ও সমস্ত মহাসভা ঈসাকে হত্যা করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য খোঁজ করলো, কিন্তু পেল না।
56. কেননা অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিল বটে, কিন্তু তাদের সাক্ষ্য মিললো না।
57. পরে কয়েক জন দাঁড়িয়ে তাঁর বিপক্ষে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে বললো,
58. আমরা ওকে এই কথা বলতে শুনেছি, আমি এই হাতের তৈরি এবাদতখানা ভেঙ্গে ফেলবো, আর তিন দিনের মধ্যে এমন আর একটি এবাদতখানা নির্মাণ করবো যা হাতের তৈরি নয়।
59. এতেও তাদের সাক্ষ্য মিললো না।
60. তখন মহা-ইমাম মধ্যস্থানে দাঁড়িয়ে ঈসাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি কোন উত্তরই দেবে না? তোমার বিরুদ্ধে এরা কি সাক্ষ্য দিচ্ছে?
61. কিন্তু তিনি নীরব রইলেন, কোন জবাব দিলেন না। আবার মহা-ইমাম তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি সেই মসীহ্, পরমধন্যের পুত্র?