মার্ক 14:13-27 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

13. তখন তিনি তাঁর সাহাবীদের মধ্য থেকে দুই জনকে পাঠিয়ে দিলেন, বললেন, তোমরা নগরে যাও, এমন এক ব্যক্তি তোমাদের সম্মুখে পড়বে, যে এক কলসী পানি নিয়ে আসছে; তারই পিছনে পিছনে যেও;

14. আর সে যে বাড়িতে প্রবেশ করে, সেই বাড়ির মালিককে বলো, হুজুর বলছেন, যেখানে আমি আমার সাহাবীদের সঙ্গে ঈদুল ফেসাখের মেজবানী ভোজন করতে পারি, আমার সেই মেহমান-শালা কোথায়?

15. তাতে সেই ব্যক্তি তোমাদেরকে উপরের একটি সুসজ্জিত প্রশস্ত কুঠরী দেখিয়ে দেবে, সেই স্থানে আমাদের জন্য ভোজ প্রস্তুত করো।

16. পরে সাহাবীরা প্রস্থান করে নগরে গেলেন, আর তিনি যেমন বলেছিলেন, তেমনি দেখতে পেলেন; পরে তাঁরা ঈদুল ফেসাখের মেজবানী প্রস্তুত করলেন।

17. পরে সন্ধ্যা হলে তিনি সেই বারো জনের সঙ্গে উপস্থিত হলেন।

18. তাঁরা বসে ভোজন করছেন, এমন সময়ে ঈসা বললেন, আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, তোমাদের এক জন আমাকে ধরিয়ে দেবে, সে আমার সঙ্গে ভোজন করছে।

19. তখন তাঁরা দুঃখিত হলেন এবং একে একে তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন, সে কি আমি?

20. তিনি তাঁদেরকে বললেন, এই বারো জনের মধ্যে এক জন, যে আমার সঙ্গে ভোজনপাত্রে হাত ডুবাচ্ছে, সেই।

21. কেননা ইবনুল-ইনসানের বিষয়ে যেমন লেখা আছে, তেমনি তিনি যাচ্ছেন; কিন্তু ধিক্‌ সেই ব্যক্তিকে, যে ইবনুল-ইনসানকে ধরিয়ে দেয়। সেই মানুষের জন্ম না হলে তার পক্ষে ভালই ছিল।

22. তাঁরা ভোজন করছেন, এমন সময়ে তিনি রুটি নিয়ে দোয়াপূর্বক ভাঙ্গলেন এবং তাঁদেরকে দিলেন, আর বললেন, তোমরা নেও, এ আমার শরীর।

23. পরে তিনি পানপাত্র নিয়ে শুকরিয়াপূর্বক তাঁদেরকে দিলেন এবং তাঁরা সকলেই তা থেকে পান করলেন।

24. আর তিনি তাঁদেরকে বললেন, এ আমার রক্ত, নতুন নিয়মের রক্ত, যা অনেকের জন্য ঢেলে দেওয়া হয়।

25. আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, যেদিন আমি আল্লাহ্‌র রাজ্যে নতুন ভাবে তা পান না করি, সেদিন পর্যন্ত আমি আঙ্গুর ফলের রস আর কখনও পান করবো না।

26. পরে তাঁরা গজল গেয়ে বের হয়ে জৈতুন পর্বতে গেলেন।

27. তখন ঈসা তাঁদেরকে বললেন, তোমরা সকলে আমাকে নিয়ে মনে বাধা পাবে; কেননা লেখা আছে,“আমি পালরক্ষককে আঘাত করবো,তাতে মেষেরা ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়বে।”

মার্ক 14