17. হায়, সেই সময় গর্ভবতী এবং স্তন্যদাত্রী নারীদের অবস্থা কি ভীষণই না হবে!
18. আর মুনাজাত করো, যেন এই অবস্থা শীতকালে না হয়।
19. কেননা সেই সময় এরকম দুঃখ-কষ্ট উপস্থিত হবে, যেরকম দুঃখ-কষ্ট আল্লাহ্র কৃত সৃষ্টির প্রথম থেকে এই পর্যন্ত কখনও হয় নি, কখনও হবে না।
20. আর প্রভু যদি সেই দিনের সংখ্যা কমিয়ে না দিতেন, তবে কোন প্রাণীই রক্ষা পেত না; কিন্তু তিনি যাদেরকে মনোনীত করেছেন, সেই মনোনীতদের জন্য সেই দিনের সংখ্যা কমিয়ে দিলেন।
21. আর সেই সময়ে যদি কেউ তোমাদেরকে বলে, দেখ, সেই মসীহ্ এখানে, কিংবা দেখ, ওখানে, তোমরা বিশ্বাস করো না।
22. কেননা ভণ্ড মসীহ্রা ও ভণ্ড নবীরা উঠবে এবং নানা চিহ্ন-কাজ ও অদ্ভুত লক্ষণ দেখাবে, যেন, যদি হতে পারে, তবে মনোনীতদেরকেও ভুলায়।
23. কিন্তু তোমরা সাবধান থেকো। দেখ, আমি আগেই তোমাদেরকে সকলই জানালাম।
24. আর সেই সময়ে, সেই কষ্টের পরে, সূর্য অন্ধকার হবে, চন্দ্র জ্যোৎস্না দেবে না,
25. আসমান থেকে তারাগুলোর পতন হবে ও আসমানের পরাক্রমগুলো বিচলিত হবে।
26. আর তখন লোকেরা দেখবে, ইবনুল-ইনসান মহাপরাক্রম ও মহিমার সঙ্গে মেঘযোগে আসছেন।
27. তখন তিনি ফেরেশতাদেরকে প্রেরণ করে দুনিয়ার সীমা থেকে আসমানের সীমা পর্যন্ত চার দিক থেকে তাঁর মনোনীতদেরকে একত্র করবেন।
28. আর ডুমুরগাছ দেখে তা থেকে শিক্ষা লাভ কর; যখন তার ডাল কোমল হয়ে পাতা বের হয়, তখন তোমরা জানতে পার যে, গ্রীষ্মকাল সন্নিকট;
29. সেভাবে তোমরা ঐ সমস্ত ঘটনা দেখলেই জানতে পারবে যে, তিনি সন্নিকট, এমন কি, দ্বারে উপস্থিত।
30. আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, যে পর্যন্ত এ সব পূর্ণ না হবে, সেই পর্যন্ত এই কালের লোকদের লোপ হবে না।
31. আসমানের ও দুনিয়ার লোপ হবে, কিন্তু আমার কথার লোপ কখনও হবে না।
32. কিন্তু সেই দিনের বা সেই দণ্ডের তত্ত্ব কেউই জানে না; বেহেশতী ফেরেশতারাও জানেন না, পুত্রও জানেন না, কেবল পিতা জানেন।
33. সাবধান, তোমরা জেগে থেকো ও মুনাজাত করো; কেননা সেই সময় কবে হবে, তা জান না।
34. কোন ব্যক্তি যেন তার বাড়ি ছেড়ে বিদেশে গিয়ে প্রবাস করছেন; আর তিনি তার গোলামদেরকে ক্ষমতা দিয়েছেন, প্রত্যেকের কাজ নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং দারোয়ানকে জেগে থাকতে হুকুম করেছেন।