10. আর প্রথমে সর্বজাতির কাছে সুসমাচার তবলিগ হওয়া আবশ্যক।
11. কিন্তু লোকে যখন তোমাদেরকে ধরিয়ে দেবার জন্য নিয়ে যাবে, তখন কি বলবে সেজন্য আগেই চিন্তিত হয়ো না; বরং সেই দণ্ডে যে কথা তোমাদেরকে দেওয়া যাবে, তা-ই বলো; কেননা তোমরাই যে কথা বলবে, তা নয়, কিন্তু পাক-রূহ্ই বলবেন।
12. তখন ভাই ভাইকে ও পিতা সন্তানকে মেরে ফেলবার জন্য ধরিয়ে দেবে এবং সন্তানেরা আপন আপন মাতা-পিতার বিপক্ষে উঠে তাদেরকে খুন করাবে।
13. আর আমার নামের জন্য তোমরা সকলের ঘৃণিত হবে; কিন্তু যে কেউ শেষ পর্যন্ত স্থির থাকবে, সেই নাজাত পাবে।
14. কিন্তু যখন তোমরা দেখবে, ধ্বংসের সেই ঘৃণার বস্তু যেখানে দাঁড়াবার নয়, সেখানে দাঁড়িয়ে আছে— যে পাঠ করে, সে বুঝুক, —তখন যারা এহুদিয়াতে থাকে, তারা পাহাড়ী এলাকায় পালিয়ে যাক,
15. এবং যে কেউ ছাদের উপরে থাকে, সে বাড়ি থেকে জিনিসপত্র নেবার জন্য নিচে না নামুক ও তার মধ্যে প্রবেশ না করুক;
16. এবং যে কেউ ক্ষেতে থাকে, সে নিজের কাপড় নেবার জন্য পিছনে ফিরে না যাক।
17. হায়, সেই সময় গর্ভবতী এবং স্তন্যদাত্রী নারীদের অবস্থা কি ভীষণই না হবে!
18. আর মুনাজাত করো, যেন এই অবস্থা শীতকালে না হয়।
19. কেননা সেই সময় এরকম দুঃখ-কষ্ট উপস্থিত হবে, যেরকম দুঃখ-কষ্ট আল্লাহ্র কৃত সৃষ্টির প্রথম থেকে এই পর্যন্ত কখনও হয় নি, কখনও হবে না।
20. আর প্রভু যদি সেই দিনের সংখ্যা কমিয়ে না দিতেন, তবে কোন প্রাণীই রক্ষা পেত না; কিন্তু তিনি যাদেরকে মনোনীত করেছেন, সেই মনোনীতদের জন্য সেই দিনের সংখ্যা কমিয়ে দিলেন।