17. ঈসা তাদেরকে বললেন, সম্রাটের যা যা তা সম্রাটকে দাও, আর আল্লাহ্র যা তা আল্লাহ্কে দাও। তখন তারা তাঁর বিষয়ে অতিশয় আশ্চর্য জ্ঞান করলো।
18. পরে সদ্দূকীরা— যারা বলে, পুনরুত্থান নেই— তাঁর কাছে আসল এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো,
19. হুজুর, মূসা আমাদের জন্য লিখেছেন, কারো ভাই যদি স্ত্রী রেখে মারা যায়, আর তার সন্তান না থাকে, তবে তার ভাই তার স্ত্রীকে বিয়ে করে আপন ভাইয়ের জন্য বংশ উৎপন্ন করবে।
20. ভাল, তারা সাত ভাই ছিল; প্রথম জন এক জন স্ত্রীকে বিয়ে করলো, আর সে সন্তান না রেখে মারা গেল।
21. পরে দ্বিতীয় জন তাকে বিয়ে করলো, কিন্তু সেও সন্তান না রেখে মারা গেল;
22. তৃতীয় জনও তেমনি। এভাবে সাত জনই কোন সন্তান রেখে যায় নি; সকলের শেষে সেই স্ত্রীও মারা গেল।
23. পুনরুত্থান দিনে যখন তারা উঠবে, সে তাদের মধ্যে কার স্ত্রী হবে? তারা সাত জনই তো তাকে বিয়ে করেছিল।
24. ঈসা তাদেরকে বললেন, এটা-ই কি তোমাদের ভ্রান্তির কারণ নয় যে, তোমরা না জান পাক-কিতাব, না জান আল্লাহ্র পরাক্রম?
25. মৃতদের মধ্য থেকে উঠলে পর লোকেরা তো বিয়ে করে না এবং বিবাহিতাও হয় না, বরং বেহেশতে ফেরেশতাদের মত থাকে।
26. কিন্তু মৃতদের বিষয়ে, তারা যে উত্থিত হয়, এই বিষয়ে মূসার কিতাবে ঝোপের ঘটনায় আল্লাহ্ তাঁকে কিরূপ বলেছিলেন, তা কি তোমরা পাঠ কর নি? তিনি বলেছিলেন, “আমি ইব্রাহিমের আল্লাহ্, ইস্হাকের আল্লাহ্ ও ইয়াকুবের আল্লাহ্।”
27. তিনি মৃতদের আল্লাহ্ নন, কিন্তু জীবিতদের। তোমরা বড়ই ভ্রান্তিতে পড়েছ।
28. আর আলেমদের এক জন কাছে এসে তাদেরকে তর্ক বিতর্ক করতে শুনে এবং ঈসা তাদেরকে বিলক্ষণ উত্তর দিয়েছেন জেনে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো, সকল হুকুমের মধ্যে কোন্টি প্রথম?
29. জবাবে ঈসা বললেন, প্রথমটি এই, “হে ইসরাইল, শোন; আমাদের আল্লাহ্ প্রভু একই প্রভু;
30. আর তুমি তোমার সমস্ত অন্তঃকরণ, তোমার সমস্ত প্রাণ, তোমার সমস্ত মন ও তোমার সমস্ত শক্তি দিয়ে তোমার আল্লাহ্ প্রভুকে মহব্বত করবে।”
31. দ্বিতীয়টি এই, “তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত মহব্বত করবে।” এই দু’টি হুকুম থেকে বড় আর কোন হুকুম নেই।
32. আলেম তাঁকে বললো, বেশ, হুজুর, আপনি সত্যি বলেছেন যে, তিনি এক এবং তিনি ছাড়া অন্য কেউ নেই;
33. আর সমস্ত অন্তঃকরণ, সমস্ত বুদ্ধি ও সমস্ত শক্তি দিয়ে তাঁকে মহব্বত করা এবং প্রতিবেশীকে নিজের মত মহব্বত করা সমস্ত পোড়ানো-কোরবানী ও অন্যান্য কোরবানী থেকে শ্রেষ্ঠ।