36. তিনি তাঁদেরকে বললেন, তোমাদের বাসনা কি? তোমাদের জন্য আমি কি করবো?
37. তাঁরা বললেন, আমাদেরকে এই বর দান করুন, যেন আপনি যখন মহিমা লাভ করবেন তখন আমরা এক জন আপনার ডান পাশে, আর এক জন বাম পাশে বসতে পারি।
38. ঈসা তাঁদেরকে বললেন, তোমরা কি যাচ্ঞা করছো, তা বোঝ না। আমি যে পাত্রে পান করি, তাতে কি তোমরা পান করতে পার এবং আমি যে বাপ্তিস্মে বাপ্তিস্ম নেই, তাতে কি তোমরা বাপ্তিস্ম নিতে পার?
39. তাঁরা বললেন, পারি। ঈসা তাঁদেরকে বললেন, আমি যে পাত্রে পান করি, তাতে তোমরা পান করবে এবং আমি যে বাপ্তিস্মে বাপ্তিস্ম নেই, তাতে তোমরাও বাপ্তিস্ম নেবে;
40. কিন্তু যাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করা হয়েছে, তাদের ছাড়া আর কাউকেও আমার ডান পাশে বা বাম পাশে বসতে দিতে আমার অধিকার নেই।
41. এই কথা শুনে অন্য দশ জন ইয়াকুব ও ইউহোন্নার প্রতি বিরক্ত হতে লাগলেন।
42. কিন্তু ঈসা তাঁদেরকে কাছে ডেকে বললেন, তোমরা জান, জাতিদের মধ্যে যারা শাসনকর্তা বলে গণ্য, তারা তাদের উপরে প্রভুত্ব করে এবং তাদের মধ্যে যারা মহান, তারা তাদের উপরে কর্তৃত্ব করে।
43. তোমাদের মধ্যে সেরকম হওয়া উচিত নয়; কিন্তু তোমাদের মধ্যে যে কেউ মহান হতে চায়, সে তোমাদের পরিচারক হবে;
44. এবং তোমাদের মধ্যে যে কেউ প্রধান হতে চায়, সে সকলের গোলাম হবে।
45. কারণ বাস্তবিক ইবনুল-ইনসানও পরিচর্যা পেতে আসেন নি, কিন্তু পরিচর্যা করতে এবং অনেকের পরিবর্তে আপন প্রাণ মুক্তির মূল্যরূপে দিতে এসেছেন।
46. পরে তাঁরা জেরিকোতে আসলেন। আর তিনি যখন তাঁর সাহাবীদের ও বিস্তর লোকের সঙ্গে জেরিকো থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন, তখন তীময়ের পুত্র বর্তীময় নামে এক জন অন্ধ ভিক্ষুক পথের পাশে বসেছিল।
47. সে যখন শুনতে পেল তিনি নাসরতীয় ঈসা, তখন চেঁচিয়ে বলতে লাগল, হে ঈসা, দাউদ-সন্তান, আমার প্রতি করুণা করুন।
48. তখন অনেক লোক চুপ চুপ বলে তাকে ধমক্ দিল; কিন্তু সে আরও বেশি চেঁচিয়ে বলতে লাগল, হে দাউদ-সন্তান, আমার প্রতি করুণা করুন।
49. তখন ঈসা থেমে বললেন, ওকে ডাক; তাতে লোকেরা সেই অন্ধকে ডেকে বললো, ওহে, সাহস কর, উঠ, উনি তোমাকে ডাকছেন।