2. তখন ফরীশীরা কাছে এসে পরীক্ষা করার জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো, স্ত্রী পরিত্যাগ করা কি পুরুষের পক্ষে উচিত?
3. জবাবে তিনি তাদেরকে বললেন, মূসা তোমাদেরকে কি হুকুম দিয়েছেন?
4. তারা বললো, তালাক-নামা লিখে আপন স্ত্রীকে তালাক দেবার অনুমতি মূসা দিয়েছেন।
5. ঈসা তাদেরকে বললেন, তোমাদের অন্তঃকরণ কঠিন বলে তিনি এই বিধি লিখেছেন;
6. কিন্তু সৃষ্টির আদি থেকে আল্লাহ্ পুরুষ ও স্ত্রী করে তাদেরকে নির্মাণ করেছেন;
7. “এই কারণে মানুষ তার পিতা-মাতাকে ত্যাগ করে আপন স্ত্রীতে আসক্ত হবে,
8. আর সে দু’জন একাঙ্গ হবে;” সুতরাং তারা আর দুই নয়, কিন্তু একাঙ্গ।
9. অতএব আল্লাহ্ যার যোগ করে দিয়েছেন, মানুষ তার বিয়োগ না করুক।
10. পরে সাহাবীরা বাড়িতে আবার সেই বিষয় তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন।
11. তিনি তাঁদেরকে বললেন, যে কেউ আপন স্ত্রীকে তালাক দিয়ে অন্য স্ত্রীকে বিয়ে করে, সে তার বিরুদ্ধে জেনা করে;
12. আর স্ত্রী যদি আপন স্বামীকে পরিত্যাগ করে আর এক জনকে বিয়ে করে, তবে সেও জেনা করে।
13. পরে লোকেরা কতগুলো শিশুকে তাঁর কাছে আনলো, যেন তিনি তাদেরকে স্পর্শ করেন; তাতে সাহাবীরা তাদেরকে ভর্ৎসনা করলেন।
14. কিন্তু ঈসা তা দেখে অসন্তুষ্ট হলেন, আর তাঁদেরকে বললেন, শিশুদেরকে আমার কাছে আসতে দাও, বারণ করো না; কেননা আল্লাহ্র রাজ্য এদের মত লোকদেরই।
15. আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, যে ব্যক্তি শিশুর মত হয়ে আল্লাহ্র রাজ্য গ্রহণ না করে, সে কোন মতে তাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
16. পরে তিনি তাদেরকে কোলে নিলেন ও তাদের উপরে হাত রেখে দোয়া করলেন।
17. পরে তিনি বের হয়ে পথে যাচ্ছেন, এমন সময়ে এক জন দৌড়ে এসে তাঁর সম্মুখে হাঁটু পেতে জিজ্ঞাসা করলো, হে সৎ ওস্তাদ, অনন্ত জীবনের অধিকারী হবার জন্য আমি কি করবো?
18. ঈসা তাকে বললেন, আমাকে সৎ কেন বলছো? এক জন ছাড়া সৎ আর কেউ নেই, তিনি আল্লাহ্।