8. তা দেখে লোকেরা ভয় পেল, আর আল্লাহ্ মানুষকে এমন ক্ষমতা দিয়েছেন বলে তারা আল্লাহ্র গৌরব করলো।
9. আর সেই স্থান থেকে যেতে যেতে ঈসা দেখলেন, মথি নামক এক ব্যক্তি করগ্রহণ-স্থানে বসে আছে; তিনি তাকে বললেন, আমাকে অনুসরণ কর। তাতে সে উঠে তাঁর পিছনে পিছনে চলতে লাগল।
10. পরে তিনি বাড়ির মধ্যে ভোজন করতে বসেছেন, আর দেখ, অনেক কর-আদায়কারী ও গুনাহ্গার এসে ঈসার এবং তাঁর সাহাবীদের সঙ্গে ভোজনে বসলো।
11. তা দেখে ফরীশীরা তাঁর সাহাবীদেরকে বললো, তোমাদের হুজুর কি জন্য কর-আদায়কারী ও গুনাহ্গারদের সঙ্গে ভোজন করেন?
12. তা শুনে তিনি বললেন, সুস্থ লোকদের চিকিৎসকের প্রয়োজন নেই, বরং অসুস্থদেরই প্রয়োজন আছে।
13. কিন্তু তোমরা গিয়ে শিক্ষা কর, এই কালামের মর্ম কি, “আমি করুণাই চাই, কোরবানী নয়”; কেননা আমি ধার্মিকদেরকে নয়, কিন্তু গুনাহ্গারদেরকে ডাকতে এসেছি।
14. তখন ইয়াহিয়ার সাহাবীরা তাঁর কাছে এসে বললো, ফরীশীরা ও আমরা অনেক বার রোজা রাখি, কিন্তু আপনার সাহাবীরা রোজা রাখে না, এর কারণ কি?
15. ঈসা তাঁদেরকে বললেন, বর সঙ্গে থাকতে কি বাসর ঘরের লোকেরা মাতম করতে পারে? কিন্তু এমন সময় আসবে, যখন তাদের কাছ থেকে বরকে নিয়ে যাওয়া হবে; তখন তারা রোজা রাখবে।
16. পুরানো কোর্তায় কেউ নতুন কাপড়ের তালি দেয় না, কেননা তার তালিতে কাপড় ছিঁড়ে যায় এবং ছিদ্র আরও বড় হয়।
17. আর লোকে পুরানো চামড়ার থলিতে নতুন আঙ্গুর-রস রাখে না; রাখলে থলিগুলো ফেটে যায়, তাতে আঙ্গুর-রস পড়ে যায়, থলিগুলোও নষ্ট হয়; কিন্তু লোকে নতুন চামড়ার থলিতেই টাট্কা আঙ্গুর-রস রাখে, তাতে উভয়েরই রক্ষা হয়।
18. তিনি তাদেরকে এসব কথা বলছেন, আর দেখ, মজলিস-খানার এক জন নেতা এসে তাঁর সম্মুখে উবুড় হয়ে বললেন, আমার কন্যাটি হয়তো এতক্ষণ মারা গেছে; কিন্তু আপনি এসে তার উপরে হাত রাখুন, তাতে সে বাঁচবে।