30. তখন তাদের চোখ খুলে গেল। আর ঈসা তাদেরকে দৃঢ়ভাবে নিষেধ করে দিলেন, বললেন, দেখো, যেন কেউ এই বিষয় জানতে না পারে।
31. কিন্তু তারা বাইরে গিয়ে সেই অঞ্চলের সমস্ত জায়গায় তাঁর কীর্তি প্রকাশ করলো।
32. তারা বাইরে যাচ্ছে, এমন সময়ে লোকেরা একটি বদ-রূহে পাওয়া বোবা লোককে তাঁর কাছে আনলো।
33. বদ-রূহ্ ছাড়ানো হলে সেই বোবা কথা বলতে লাগল; তখন লোকেরা আশ্চর্য জ্ঞান করে বললো, ইসরাইলের মধ্যে এমন কখনও দেখা যায় নি।
34. কিন্তু ফরীশীরা বলতে লাগল, বদ-রূহ্দের অধিপতি দ্বারা সে বদ-রূহ্ ছাড়ায়।
35. আর ঈসা সমস্ত নগরে ও গ্রামে ভ্রমণ করতে লাগলেন; তিনি লোকদের মজলিস-খানায় উপদেশ দিলেন ও বেহেশতী-রাজ্যের সুসমাচার তবলিগ করলেন এবং সমস্ত রকম রোগ ও সমস্ত রকম অসুস্থতা থেকে সুস্থতা দান করলেন।
36. কিন্তু অনেক লোক দেখে তিনি তাদের প্রতি করুণাবিষ্ট হলেন, কেননা তারা ব্যাকুল ও পরিশ্রান্ত ছিল, যেন রাখালবিহীন ভোড়ার পাল।
37. তখন তিনি তাঁর সাহাবীদেরকে বললেন, শস্য প্রচুর বটে, কিন্তু কার্যকারী লোক অল্প;
38. অতএব শস্য-ক্ষেতের মালিকের কাছে মুনাজাত কর, যেন তিনি নিজের শস্য-ক্ষেতে কার্যকারী লোক পাঠিয়ে দেন।