17. কিন্তু তুমি যখন রোজা রাখ, তখন মাথায় তেল দিও এবং মুখ ধুইও;
18. যেন লোকে তোমার রোজা দেখতে না পায়, কিন্তু তোমার পিতা, যিনি গোপনে বর্তমান, তিনিই দেখতে পান; তাতে তোমার পিতা, যিনি গোপনে দেখেন, তিনি তোমাকে ফল দেবেন।
19. তোমরা দুনিয়াতে নিজেদের জন্য ধন সঞ্চয় করো না; এখানে তো কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে এবং এখানে চোরে সিঁধ কেটে চুরি করে।
20. কিন্তু বেহেশতে নিজেদের জন্য ধন সঞ্চয় কর; সেখানে কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে না, সেখানে চোরেও সিঁধ কেটে চুরি করে না।
21. কারণ যেখানে তোমার ধন, সেখানে তোমার মনও থাকবে।
22. চোখই শরীরের প্রদীপ; অতএব তোমার চোখ যদি সরল হয়, তবে তোমার সমস্ত শরীর আলোতে পূর্ণ হবে।
23. কিন্তু তোমার চোখ যদি মন্দ হয়, তবে তোমার সমস্ত শরীর অন্ধকারময় হবে। অতএব তোমার মধ্যকার আলো যদি অন্ধকার হয়, সেই অন্ধকার কত বড়!
24. কেউই দুই মালিকের গোলামী করতে পারে না; কেননা সে হয় তো এক জনকে হিংসা করবে, আর এক জনকে মহব্বত করবে, নয় তো এক জনের প্রতি অনুরক্ত হবে, আর এক জনকে তুচ্ছ করবে; তোমরা আল্লাহ্ এবং ধন উভয়ের গোলামী করতে পার না।
25. এজন্য আমি তোমাদেরকে বলছি, ‘কি ভোজন করবো, কি পান করবো’ বলে প্রাণের বিষয়ে, কিংবা ‘কি পরবো’ বলে শরীরের বিষয়ে চিন্তিত হয়ো না; খাদ্য থেকে প্রাণ ও কাপড় থেকে শরীর কি বড় বিষয় নয়?
26. আসমানের পাখিগুলোর প্রতি দৃষ্টিপাত কর; তারা বপনও করে না, কাটেও না, গোলাঘরে সঞ্চয়ও করে না, তবুও তোমাদের বেহেশতী পিতা তাদেরকে আহার দিয়ে থাকেন; তোমরা কি তাদের থেকে বেশি শ্রেষ্ঠ নও?
27. আর তোমাদের মধ্যে কে চিন্তিত হয়ে নিজের বয়স এক হাত মাত্র বৃদ্ধি করতে পারে?
28. আর কাপড়ের জন্য কেন চিন্তিত হও? ক্ষেতের ফুলের বিষয়ে চিন্তা কর, সেগুলো কেমন বেড়ে ওঠে;