23. তখন যদি কেউ তোমাদেরকে বলে, দেখ, সেই মসীহ্ এখানে, কিংবা ওখানে, তোমরা বিশ্বাস করো না।
24. কেননা ভণ্ড মসীহ্রা ও ভণ্ড নবীরা উঠবে এবং এমন মহৎ মহৎ চিহ্ন-কাজ ও অদ্ভুত অদ্ভুত লক্ষণ দেখাবে যে, যদি হতে পারে, তবে মনোনীতদেরকেও ভুলাবে।
25. দেখ, আমি আগেই তোমাদেরকে বললাম।
26. অতএব লোকে যদি তোমাদেরকে বলে, ‘দেখ, তিনি মরু-ভূমিতে,’ তোমরা বাইরে যেও না; ‘দেখ, তিনি ভিতরের গৃহে,’ তোমরা বিশ্বাস করো না।
27. কারণ বিদ্যুৎ যেমন পূর্বদিক থেকে বের হয়ে পশ্চিম দিক পর্যন্ত প্রকাশ পায়, তেমনি ইবনুল-ইনসানের আগমন হবে।
28. যেখানে লাশ থাকে, সেখানে শকুন জুটবে।
29. আর সেই সময়ের কষ্টের পরেই সূর্য অন্ধকার হবে, চন্দ্র জ্যোৎস্না দেবে না, আসমান থেকে তারাগুলোর পতন হবে ও আসমানের পরাক্রমগুলো বিচলিত হবে।
30. আর তখন ইবনুল-ইনসানের চিহ্ন আসমানে দেখা যাবে, আর তখন দুনিয়ার সমস্ত গোষ্ঠী মাতম করবে এবং ইবনুল-ইনসানকে আসমানের মেঘরথে পরাক্রম ও মহা প্রতাপে আসতে দেখবে।
31. আর তিনি মহা তূরীধ্বনি সহকারে নিজের ফেরেশতাদেরকে প্রেরণ করবেন; তাঁরা আসমানের এক সীমা থেকে অন্য সীমা পর্যন্ত চার দিক থেকে তাঁর মনোনীতদেরকে একত্র করবেন।
32. ডুমুর গাছ থেকে দৃষ্টান্ত শিখ; যখন তার ডাল কোমল হয়ে পাতা বের করে, তখন তোমরা জানতে পার, গ্রীষ্মকাল সন্নিকট;
33. সেভাবে তোমরা ঐ সমস্ত ঘটনা দেখলেই জানবে, তিনি সন্নিকট, এমন কি, দ্বারে উপস্থিত।
34. আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, এই কালের লোকদের লোপ হবে না, যে পর্যন্ত না এ সব সিদ্ধ হয়।
35. আসমানের ও দুনিয়ার লোপ হবে, কিন্তু আমার কথার লোপ কখনও হবে না।
36. কিন্তু সেই দিনের ও সেই দণ্ডের তত্ত্ব কেউই জানে না, বেহেশতের ফেরেশতারাও জানেন না, পুত্রও জানেন না, কেবল পিতা জানেন।
37. বাস্তবিক নূহের সময়ে যেমন হয়েছিল, ইবনুল-ইনসানের আগমনও তেমনি হবে।
38. কারণ বন্যার সেই পূর্ববর্তী কালে, জাহাজে নূহের প্রবেশ দিন পর্যন্ত, লোকে যেমন ভোজন ও পান করতো,
39. বিয়ে করতো ও বিবাহিতা হত এবং বুঝতে পারল না, যতদিন না বন্যা এসে সকলকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল; তেমনি ইবনুল-ইনসানের আগমন হবে।