18. আরও বলে থাক, কেউ কোরবানগাহ্র কসম করলে তা কিছুই নয়, কিন্তু যে কেউ তার উপরিস্থ উপহারের কসম করলো, সে আবদ্ধ হল।
19. হ্যাঁ অন্ধেরা, বল দেখি, কোন্টি শ্রেষ্ঠ? উপহার, না সেই কোরবানগাহ্, যা উপহারকে পবিত্র করে?
20. যে ব্যক্তি কোরবানগাহ্র কসম খায়, সে তো কোরবানগাহ্র ও তার উপরিস্থ সমস্ত কিছুরই কসম খায়।
21. আর যে বায়তুল-মোকাদ্দসের কসম খায়, সে বায়তুল-মোকাদ্দসের এবং যিনি সেখানে বাস করেন, তাঁরও কসম খায়।
22. আর যে বেহেশতের কসম খায়, সে আল্লাহ্র সিংহাসনের এবং যিনি তাতে উপবিষ্ট, তাঁরও কসম খায়।
23. হ্যাঁ আলেম ও ফরীশীরা, ভণ্ডরা, ধিক্ তোমদেরকে! কারণ তোমরা পুদিনা, মৌরি ও জিরার দশ ভাগের এক ভাগ দিয়ে থাক; আর শরীয়তের মধ্যে গুরুতর বিষয়— ন্যায়বিচার, করুণা ও বিশ্বাস— পরিত্যাগ করেছ; কিন্তু এসব পালন করা এবং ঐ সকলও পরিত্যাগ না করা, তোমাদের উচিত ছিল।
24. অন্ধ পথ-প্রদর্শকেরা, তোমরা মশা ছেঁকে ফেল, কিন্তু উট গিলে থাক।
25. হ্যাঁ আলেম ও ফরীশীরা, ভণ্ডরা, ধিক্ তোমাদেরকে! কারণ তোমরা পানপাত্র ও ভোজনপাত্রের বাইরেটা পরিষ্কার করে থাক, কিন্তু সেগুলোর ভিতরে জুলুম ও অন্যায়ে ভরা।
26. অন্ধ ফরীশী, আগে পানপাত্র ও ভোজনপত্রের ভিতরটা পরিষ্কার কর, যেন তা বাহিরেও পরিষ্কার হয়।
27. হ্যাঁ আলেম ও ফরীশীরা, ভণ্ডরা, ধিক্ তোমাদেরকে! কারণ তোমরা চুনকাম করা কবরের মত; তা বাইরে দেখতে সুন্দর বটে, কিন্তু ভিতরে মরা মানুষের অস্থি ও সব রকম নাপাকীতায় ভরা।
28. তেমনি তোমরাও বাইরে লোকদের কাছে ধার্মিক বলে দেখিয়ে থাক, কিন্তু ভিতরে তোমরা ভণ্ডামি ও অধর্মে পরিপূর্ণ।
29. হ্যাঁ আলেম ও ফরীশীরা, ভণ্ডরা, ধিক্ তোমাদেরকে! কারণ তোমরা নবীদের কবর গেঁথে থাক এবং ধার্মিকদের সমাধি-স্তম্ভ শোভিত করে থাক,
30. আর বলে থাক, আমরা যদি আমাদের পূর্বপুরুষদের সময়ে থাকতাম, তবে নবীদের রক্তপাতে তাঁদের সহভাগী হতাম না।
31. এতে তোমরা নিজেদের বিষয়ে এই সাক্ষ্য দিচ্ছ যে, যারা নবীদেরকে খুন করেছিল, তোমরা তাদেরই সন্তান।
32. তোমাদের পূর্বপুরুষেরা যা শুরু করে গেছে এবার তা তোমরা পূর্ণ কর।
33. সাপের দল, কালসাপের বংশেরা, তোমরা কেমন করে বিচারে দোজখের আজাব এড়াবে?
34. এই কারণ দেখ, আমি তোমাদের কাছে নবী, বিজ্ঞ ও আলেমদেরকে প্রেরণ করবো, তাদের মধ্যে কতক জনকে তোমরা খুন করবে ও ক্রুশে দেবে, কতক জনকে তোমাদের মজলিস-খানায় কশাঘাত করবে এবং এক নগর থেকে আর এক নগরে তাড়না করবে,