7. তখন হেরোদ সেই পণ্ডিতদেরকে গোপনে ডেকে, ঐ তারা কোন্ সময়ে দেখা গিয়েছিল, তা তাঁদের কাছ থেকে বিশেষ করে জেনে নিলেন।
8. পরে তিনি তাঁদেরকে বেথেলহেমে পাঠিয়ে দিয়ে বললেন, তোমরা গিয়ে বিশেষ করে সেই শিশুর খোঁজ কর; দেখা পেলে পর আমাকে সংবাদ দিও, যেন আমিও গিয়ে তাঁকে সেজ্দা করতে পারি।
9. বাদশাহ্র কথা শুনে তাঁরা প্রস্থান করলেন, আর দেখ পূর্বদেশে তাঁরা যে তারা দেখেছিলেন, তা তাঁদের আগে আগে চললো, শেষে যেখানে শিশুটি ছিলেন তার উপরে এসে স্থগিত হয়ে রইলো।
10. তারাটি দেখতে পেয়ে তাঁরা মহানন্দে অতিশয় আনন্দিত হলেন।
11. পরে তাঁরা বাড়ির মধ্যে গিয়ে শিশুটিকে তাঁর মা মরিয়মের সঙ্গে দেখতে পেলেন ও ভূমিষ্ঠ হয়ে তাঁকে সেজ্দা করলেন এবং তাঁদের ধনকোষ খুলে তাঁকে সোনা, কুন্দুরু ও গন্ধরস উপহার দিলেন।
12. পরে তাঁরা স্বপ্নে হুকুম পেলেন যেন হেরোদের কাছে ফিরে না যান, তখন অন্য পথ দিয়ে তাঁরা নিজেদের দেশে চলে গেলেন।
13. তাঁরা চলে গেলে পর, দেখ, প্রভুর এক জন ফেরেশতা স্বপ্নে ইউসুফকে দর্শন দিয়ে বললেন, উঠ, শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে মিসরে পালিয়ে যাও; আর আমি যতদিন তোমাকে না বলি, তত দিন সেখানে থাক; কেননা হেরোদ শিশুটিকে হত্যা করার জন্য তাঁর খোঁজ করবে।
14. তখন ইউসুফ উঠে সেই রাতেই শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে মিসরে চলে গেলেন;
15. এবং হেরোদের মৃত্যু পর্যন্ত সেখানে থাকলেন। এটা ঘটলো যেন নবীর মধ্য দিয়ে নাজেল হওয়া প্রভুর এই কালাম পূর্ণ হয়, “আমি মিসর থেকে আপন পুত্রকে ডেকে আনলাম”।
17. তখন ইয়ারমিয়া নবীর মধ্য দিয়ে নাজেল হওয়া প্রভুর এই কালাম পূর্ণ হল,
18. “রামায় আওয়াজ শোনা যাচ্ছে,হাহাকার ও ভীষণ কান্নাকাটি;রাহেলা তার সন্তানদের জন্য কাঁদছেন,সান্ত্বনা পেতে চান না,কেননা তারা আর নেই।”
19. হেরোদের মৃত্যু হলে পর, দেখ, প্রভুর এক জন ফেরেশতা মিসরে ইউসুফকে স্বপ্নে দর্শন দিয়ে বললেন,
20. উঠ, শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে ইসরাইল দেশে যাও; কারণ যারা শিশুটির প্রাণ-নাশের চেষ্টা করেছিল, তারা মারা গেছে।
21. তাতে তিনি উঠে শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে ইসরাইল দেশে আসলেন।
22. কিন্তু যখন তিনি শুনতে পেলেন যে, আর্খিলায় তার পিতা হেরোদের পদে এহুদিয়াতে রাজত্ব করছেন তখন সেখানে যেতে ভয় পেলেন। পরে স্বপ্নে হুকুম পেয়ে গালীল প্রদেশে চলে গেলেন।
23. তাঁরা নাসরত নামক নগরে গিয়ে বাস করতে লাগলেন, যেন নবীদের মধ্য দিয়ে নাজেল হওয়া এই কালাম পূর্ণ হয় যে, তিনি নাসরতীয় বলে আখ্যাত হবেন।