3. এই কথা শুনে বাদশাহ্ হেরোদ অস্থির হয়ে উঠলেন ও তাঁর সঙ্গে জেরুশালেমের সমস্ত লোকেরাও অস্থির হয়ে উঠলো।
4. আর তিনি সমস্ত প্রধান ইমাম ও লোক-সাধারণের আলেমদেরকে একত্র করে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, মসীহ্ কোথায় জন্মগ্রহণ করবেন?
5. তাঁরা তাঁকে বললেন, এহুদিয়ার বেথেলহেমে, কেননা নবীর মধ্য দিয়ে এই কথা লেখা হয়েছে,
6. “আর তুমি, হে এহুদা দেশেরবেথেলহেম,তুমি এহুদার শাসনকর্তাদের মধ্যে কোন মতে ক্ষুদ্রতম নও,কারণ তোমা থেকে সেই শাসনকর্তাউৎপন্ন হবেন,যিনি আমার লোক ইসরাইলকে পালনকরবেন।”
7. তখন হেরোদ সেই পণ্ডিতদেরকে গোপনে ডেকে, ঐ তারা কোন্ সময়ে দেখা গিয়েছিল, তা তাঁদের কাছ থেকে বিশেষ করে জেনে নিলেন।
8. পরে তিনি তাঁদেরকে বেথেলহেমে পাঠিয়ে দিয়ে বললেন, তোমরা গিয়ে বিশেষ করে সেই শিশুর খোঁজ কর; দেখা পেলে পর আমাকে সংবাদ দিও, যেন আমিও গিয়ে তাঁকে সেজ্দা করতে পারি।
9. বাদশাহ্র কথা শুনে তাঁরা প্রস্থান করলেন, আর দেখ পূর্বদেশে তাঁরা যে তারা দেখেছিলেন, তা তাঁদের আগে আগে চললো, শেষে যেখানে শিশুটি ছিলেন তার উপরে এসে স্থগিত হয়ে রইলো।
10. তারাটি দেখতে পেয়ে তাঁরা মহানন্দে অতিশয় আনন্দিত হলেন।
11. পরে তাঁরা বাড়ির মধ্যে গিয়ে শিশুটিকে তাঁর মা মরিয়মের সঙ্গে দেখতে পেলেন ও ভূমিষ্ঠ হয়ে তাঁকে সেজ্দা করলেন এবং তাঁদের ধনকোষ খুলে তাঁকে সোনা, কুন্দুরু ও গন্ধরস উপহার দিলেন।
12. পরে তাঁরা স্বপ্নে হুকুম পেলেন যেন হেরোদের কাছে ফিরে না যান, তখন অন্য পথ দিয়ে তাঁরা নিজেদের দেশে চলে গেলেন।
13. তাঁরা চলে গেলে পর, দেখ, প্রভুর এক জন ফেরেশতা স্বপ্নে ইউসুফকে দর্শন দিয়ে বললেন, উঠ, শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে মিসরে পালিয়ে যাও; আর আমি যতদিন তোমাকে না বলি, তত দিন সেখানে থাক; কেননা হেরোদ শিশুটিকে হত্যা করার জন্য তাঁর খোঁজ করবে।