3. এবং বললেন, আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, তোমরা যদি না ফির ও শিশুদের মত না হয়ে উঠ, তবে কোন মতে বেহেশতী-রাজ্যে প্রবেশ করতে পাবে না।
4. অতএব যে কেউ নিজেকে এই শিশুর মত নত করে, সে-ই বেহেশতী-রাজ্যে শ্রেষ্ঠ।
5. আর যে কেউ এর মত একটি শিশুকে আমার নামে গ্রহণ করে, সে আমাকেই গ্রহণ করে।
6. কিন্তু যে ক্ষুদ্রজনেরা আমার উপর ঈমান আনে, যদি তোমাদের কেউ তাদের সম্মুখে এমন কোন বাধা স্থাপন করে যাতে তারা উচোট খায় তবে, তার গলায় বড় যাঁতা বেঁধে তাকে সমুদ্রের অগাধ পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া বরং তার পক্ষে ভাল।
7. ধিক্ দুনিয়াকে, সে লোকদের গুনাহের পথে নিয়ে যায়! কেননা গুনাহের পথে নিয়ে যাবার জন্য উসকানি অবশ্যই উপস্থিত হবে; কিন্তু ধিক্ সেই ব্যক্তিকে, যার দ্বারা উসকানি উপস্থিত হবে।
8. আর তোমার হাত কিংবা পা যদি তোমাকে গুনাহের পথে নিয়ে যায়, তবে তা কেটে ফেলে দাও; দুই হাত কিংবা দুই পা নিয়ে অনন্ত আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার চেয়ে বরং খঞ্জ কিংবা নুলা হয়ে জীবনে প্রবেশ করা তোমার ভাল।
9. আর তোমার চোখ যদি তোমাকে গুনাহের পথে নিয়ে যায়, তবে তা উপড়ে ফেলে দাও; দুই চোখ নিয়ে দোজখের আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার চেয়ে বরং এক চোখ নিয়ে জীবনে প্রবেশ করা তোমার ভাল।
10. দেখো, এই ক্ষুদ্রজনদের মধ্যে একটিকেও তুচ্ছ করো না;
11. কেননা আমি তোমাদেরকে বলছি, তাদের ফেরেশতারা বেহেশতে সতত আমার বেহেশতী পিতার মুখ দর্শন করেন। কারণ যারা হারিয়ে গেছে, তাদের নাজাত করতে ইবনুল-ইনসান এসেছেন।
12. তোমাদের কি মনে হয়? কোন ব্যক্তির যদি এক শত ভেড়া থাকে, আর তাদের মধ্যে একটি হারিয়ে যায়, তবে সে কি অন্য নিরানব্বইটা ছেড়ে পর্বতে গিয়ে ঐ হারানো ভেড়াটির খোঁজ করে না?
13. আর যদি সে কোনক্রমে সেটি পায়, তবে আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, যে নিরানব্বইটা হারিয়ে যায় নি, তাদের চেয়ে সেটির জন্য সে বেশি আনন্দ করে।
14. ঠিক সেভাবে এই ক্ষুদ্রজনদের মধ্যে এক জনও যে বিনষ্ট হয়, তোমাদের বেহেশতী পিতার এমন ইচ্ছা নয়।
15. আর যদি তোমার ভাই তোমার কাছে কোন অপরাধ করে, তবে যাও, যখন কেবল তুমি ও সে একা থাক, তখন সেই দোষ তাকে বুঝিয়ে দাও। যদি সে তোমার কথা শুনে, তুমি আপন ভাইকে ফিরে পেলে।
16. কিন্তু যদি সে না শুনে, তবে আর দুই এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে যাও, যেন “দুই কিংবা তিন জন সাক্ষীর মুখে সমস্ত কথা নিষ্পন্ন হয়।”