5. তিনি কথা বলছেন, এমন সময়ে দেখ, একখানি উজ্জ্বল মেঘ তাঁদেরকে ছায়া করলো, আর দেখ, সেই মেঘ থেকে এই বাণী হল, ‘ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, এঁতেই আমি প্রীত, এঁর কথা শোন’।
6. এই কথা শুনে সাহাবীরা উবুড় হয়ে পড়লেন এবং ভীষণ ভয় পেলেন।
7. পরে ঈসা কাছে এসে তাঁদেরকে স্পর্শ করে বললেন, উঠ, ভয় করো না।
8. তখন তাঁরা চোখ তুলে আর কাউকেও দেখতে পেলেন না, কেবল ঈসা একা ছিলেন।
9. পর্বত থেকে নামবার সময়ে ঈসা তাঁদেরকে এই হুকুম দিলেন, যে পর্যন্ত ইবনুল-ইনসান মৃতদের মধ্য থেকে না উঠেন, সেই পর্যন্ত তোমরা এই দর্শনের কথা কাউকেও বলো না।
10. তখন সাহাবীরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, তবে আলেমেরা কেন বলেন যে, প্রথমে ইলিয়াসের আগমন হওয়া আবশ্যক?
11. জবাবে তিনি বললেন, সত্যি বটে, ইলিয়াস আসবেন এবং সকলই পুনঃস্থাপন করবেন;
12. কিন্তু আমি তোমাদেরকে বলছি, ইলিয়াস এসে গেছেন এবং লোকেরা তাঁকে চিনে নি, বরং তাঁর প্রতি যা ইচ্ছা তা-ই করেছে; তেমনি ইবনুল-ইনসানকেও তাদের থেকে দুঃখভোগ করতে হবে।
13. তখন সাহাবীরা বুঝলেন যে, তিনি তাঁদেরকে বাপ্তিস্মদাতা ইয়াহিয়ার বিষয় বলেছেন।
14. পরে তাঁরা লোকদের কাছে আসলে এক ব্যক্তি তাঁর কাছে এসে হাঁটু পেতে বললো,
15. প্রভু, আমার পুত্রের প্রতি করুণা করুন, কেননা সে মৃগীরোগগ্রস্ত এবং অত্যন্ত কষ্ট পাচ্ছে, কারণ সে বার বার আগুনে ও বার বার পানিতে পড়ে থাকে।