14. পরে তাঁরা লোকদের কাছে আসলে এক ব্যক্তি তাঁর কাছে এসে হাঁটু পেতে বললো,
15. প্রভু, আমার পুত্রের প্রতি করুণা করুন, কেননা সে মৃগীরোগগ্রস্ত এবং অত্যন্ত কষ্ট পাচ্ছে, কারণ সে বার বার আগুনে ও বার বার পানিতে পড়ে থাকে।
16. আর আমি আপনার সাহাবীদের কাছে তাকে এনেছিলাম, কিন্তু তাঁরা তাকে সুস্থ করতে পারলেন না।
17. জবাবে ঈসা বললেন, হে অবিশ্বাসী ও বিপথগামী বংশ, আমি কত কাল তোমাদের সঙ্গে থাকব? কত কাল তোমাদের প্রতি সহিষ্ণুতা করবো? তোমরা ওকে এখানে আমার কাছে আন।
18. পরে ঈসা তাকে ধমক্ দিলেন, তাতে সেই বদ-রূহ্ তাকে ছেড়ে গেল, আর বালকটি সেই দণ্ড থেকে সুস্থ হল।
19. তখন সাহাবীরা গোপনে ঈসার কাছে এসে বললেন, কি জন্য আমরা সেটি ছাড়াতে পারলাম না?
20. তিনি তাঁদেরকে বললেন, তোমাদের ঈমান অল্প বলে; কেননা আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, যদি তোমাদের একটি সরিষা-দানার মত ঈমান থাকে, তবে তোমরা এই পর্বতকে বলবে, ‘এখান থেকে ঐখানে সরে যাও,’ আর তা সরে যাবে; তোমাদের অসাধ্য কিছুই থাকবে না।
21. কিন্তু মুনাজাত ও রোজা ছাড়া আর কিছুতেই এই জাতি বের হয় না।
22. গালীলে তাঁদের একত্র হবার সময়ে ঈসা তাঁদেরকে বললেন, ইবনুল-ইনসানকে মানুষের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে;
23. এবং তারা তাঁকে হত্যা করবে, আর তৃতীয় দিনে তিনি উঠবেন। এতে তাঁরা অত্যন্ত দুঃখিত হলেন।
24. পরে তাঁরা কফরনাহূমে আসলে, যারা কর আদায় করতো, তারা পিতরের কাছে এসে বললো, তোমাদের হুজুর কি কর দেন না? তিনি বললেন, দিয়ে থাকেন।
25. পরে তিনি বাড়ির মধ্যে আসলে ঈসা আগেই তাঁকে বললেন, শিমোন, তোমার কেমন মনে হয়? দুনিয়ার বাদশাহ্রা কাদের কাছ থেকে কর বা রাজস্ব গ্রহণ করে থাকেন? কি আপন সন্তানদের থেকে, না অন্য লোক থেকে?
26. পিতর বললেন, অন্য লোক থেকে। তখন ঈসা তাঁকে বললেন, তবে সন্তানেরা স্বাধীন।
27. তবুও আমরা যেন ওদের কাছে বাধা হয়ে না উঠি, এজন্য তুমি সাগরে গিয়ে বড়শী ফেল, তাতে প্রথমে যে মাছটি উঠবে, সেটি ধরে তার মুখ খুললে একটি টাকা পাবে; সেটি নিয়ে আমার এবং তোমার জন্য ওদেরকে দাও।