4. তিনি বললেন, দেখ, বীজ বপনকারী বীজ বপন করতে গেল। বপনের সময় কতগুলো বীজ পথের পাশে পড়লো, তাতে পাখিরা এসে তা খেয়ে ফেললো।
5. আর কতগুলো বীজ পাথুরে ভূমিতে পড়লো, যেখানে বেশি মাটি ছিল না, তাতে বেশি মাটি না পাওয়াতে তা শীঘ্র অঙ্কুরিত হয়ে উঠলো,
6. কিন্তু সূর্য উঠলে পর পুড়ে গেল এবং তার শিকড় না থাকাতে শুকিয়ে গেল।
7. আর কতগুলো বীজ কাঁটাবনে পড়লো, তাতে কাঁটাগাছ বেড়ে তা চেপে রাখল।
8. আর কতগুলো বীজ উত্তম ভূমিতে পড়লো ও ফল দিতে লাগল; কতগুলো শত গুণ ও কতগুলো ষাট গুণ ও কতগুলো ত্রিশ গুণ।
9. যার কান আছে সে শুনুক।
10. পরে সাহাবীরা কাছে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি জন্য দৃষ্টান্ত দ্বারা ওদের কাছে কথা বলছেন?
11. জবাবে তিনি বললেন, বেহেশতী-রাজ্যের নিগূঢ় তত্ত্বগুলো তোমাদেরকে জানতে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হয় নি।
12. কেননা যার আছে, তাকে দেওয়া যাবে ও তার অনেক হবে; কিন্তু যার নেই তার যা আছে, তাও তার কাছ থেকে নেওয়া যাবে।
13. এজন্য আমি তাদেরকে দৃষ্টান্ত দ্বারা কথা বলছি, কারণ তারা দেখেও দেখে না, শুনেও শুনে না এবং বুঝেও না।
14. আর তাদের সম্বন্ধে ইশাইয়া নবীর এই ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হচ্ছে,“তোমরা কান দিয়ে শুনবে,কিন্তু কোন মতে বুঝবে না;আর চোখ দিয়ে দেখবে,কিন্তু কোন মতে জানবে না;
15. কেননা এই লোকদের অন্তর অসার হয়েছে, শুনতে তাদের কান ভারী হয়েছে ও তারা চোখ বন্ধ করেছে, পাছে তারা চোখে দেখে, আর কানে শুনে, অন্তরে বুঝে এবং ফিরে আসে, আর আমি তাদেরকে সুস্থ করি।”
16. কিন্তু ধন্য তোমাদের চোখ, কেননা তা দেখে এবং তোমাদের কান, কেননা তা শুনে;
17. কারণ আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, তোমরা যা যা দেখছ, তা অনেক নবী ও ধার্মিক লোক দেখতে বাসনা করেও দেখতে পান নি এবং তোমরা যা যা শুনছো, তা তাঁরা শুনতে বাসনা করেও শুনতে পান নি।
18. অতএব তোমরা বীজ বপনকারীর দৃষ্টান্ত শোন।
19. যখন কেউ সেই বেহেশতী-রাজ্যের কালাম শুনেও না বুঝে, তখন সেই শয়তান এসে তার অন্তরে যা বপন করা হয়েছিল তা হরণ করে নেয়; এই সেই বীজের মত যা পথের পাশে বপন করা হয়েছে।