7. কিন্তু “আমি করুণাই চাই, কোরবানী নয়,” এই কথার অর্থ কি তা যদি তোমরা জানতে তবে নির্দোষদেরকে দোষী করতে না।
8. কেননা ইবনুল-ইনসান বিশ্রামবারের কর্তা।
9. পরে তিনি সেখান থেকে চলে গিয়ে তাদের মজলিস-খানায় প্রবেশ করলেন।
10. আর দেখ, এক জন লোক ছিল যার একখানি হাত শুকিয়ে গিয়েছিল। তখন তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো, বিশ্রামবারে কি সুস্থ করা উচিত? তাঁর উপরে দোষারোপ করার জন্য এই কথা বললো।
11. তিনি তাদেরকে বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন ব্যক্তি কে, যার একটি ভেড়া আছে, আর সেটি যদি বিশ্রামবারে গর্তে পড়ে যায়, তবে সে কি তা ধরে তুলবে না?
12. তবে ভেড়া থেকে মানুষ আরও কত শ্রেষ্ঠ! অতএব বিশ্রামবারে সৎকর্ম করা উচিত।
13. তখন তিনি সেই লোকটিকে বললেন, তোমার হাত বাড়িয়ে দাও; তাতে সে বাড়িয়ে দিল, আর তা অন্যটির মত পুনরায় সুস্থ হল।
14. পরে ফরীশীরা বাইরে গিয়ে কিভাবে তাঁকে বিনষ্ট করতে পারে তাঁর বিরুদ্ধে সেই পরামর্শ করতে লাগল।
15. ঈসা তা জেনে সেখান থেকে চলে গেলেন; অনেক লোক তাঁর পিছনে পিছনে গেল, আর তিনি সকলকে সুস্থ করলেন,
16. এবং এই দৃঢ় হুকুম দিলেন, তোমরা আমার পরিচয় দিও না।
17. —যেন ইশাইয়া নবীর মধ্য দিয়ে নাজেল হওয়া এই কালাম পূর্ণ হয়,
18. “দেখ, আমার গোলাম,তিনি আমার মনোনীত,আমার প্রিয়, আমার প্রাণ তাঁতে প্রীত,আমি তাঁর উপরে আমার রূহ্কে স্থাপনকরবো,আর তিনি জাতিদের কাছে ন্যায়বিচারতবলিগকরবেন।
19. তিনি কলহ করবেন না,উচ্চশব্দও করবেন না,পথে কেউ তাঁর কণ্ঠস্বর শুনতেপাবে না।
20. তিনি থেৎলা নল ভাঙ্গবেন না,সধূম শলতে নিভিয়ে ফেলবেন না,যে পর্যন্ত না ন্যায়বিচার বিজয়লাভ করে।
21. আর তাঁর নামে অ-ইহুদীরা প্রত্যাশারাখবে।”
22. তখন এক জন বদ-রূহে পাওয়া লোককে তাঁর কাছে আনা হল, সে অন্ধ ও বোবা; আর তিনি তাকে সুস্থ করলেন, তাতে সেই বোবা কথা বলতে ও দেখতে লাগল।
23. এতে সমস্ত লোক চমৎকৃত হল ও বলতে লাগল, ইনি কি সেই দাউদ-সন্তান?