19. ইবনুল-ইনসান এসে ভোজন পান করেন; তাতে লোকে বলে, ঐ দেখ, এক জন পেটুক ও মদ্যপায়ী, কর-আদায়কারীদের ও গুনাহ্গারদের বন্ধু। কিন্তু প্রজ্ঞা নিজের কর্ম দ্বারা নির্দোষ বলে গণিত হয়।
20. তখন যে যে নগরে তাঁর সবচেয়ে বেশি কুদরতী কাজ সম্পন্ন হয়েছিল, তিনি সেসব নগরকে ভর্ৎসনা করতে লাগলেন, কেননা তারা মন ফিরায় নি—
21. ‘কোরাসীন, ধিক্ তোমাকে! বৈৎসৈদা, ধিক্ তোমাকে! কেননা তোমাদের মধ্যে যেসব কুদরতী কাজ করা হয়েছে, সেসব যদি টায়ার ও সিডনে করা হত, তবে অনেক দিন আগে তারা চট পরে ভস্মে বসে তওবা করতো।
22. কিন্তু আমি তোমাদেরকে বলছি, তোমাদের দশা থেকে বরং টায়ার ও সিডনের দশা বিচার-দিনে সহনীয় হবে।
23. আর হে কফরনাহূম, তুমি না কি বেহেশত পর্যন্ত উঁচুতে উঠবে? তুমি পাতাল পর্যন্ত নেমে যাবে; কেননা যেসব কুদরতী কাজ তোমার মধ্যে করা হয়েছে, সেসব যদি সাদুমে করা হত, তবে তা আজ পর্যন্ত থাকতো।
24. কিন্তু আমি তোমাদেরকে বলছি, তোমার দশা থেকে বরং সাদুম দেশের দশা বিচার দিনে সহনীয় হবে।’
25. সেই সময়ে ঈসা এই কথা বললেন, হে আমার পিতা, হে বেহেশতের ও দুনিয়ার মালিক, আমি তোমাকে শুকরিয়া জানাচ্ছি, কেননা তুমি বিজ্ঞ ও বুদ্ধিমানদের কাছ থেকে এসব বিষয় গুপ্ত রেখে শিশুদের কাছে প্রকাশ করেছ;
26. হ্যাঁ, পিতা, কেননা তা তোমার দৃষ্টিতে প্রীতিজনক হল।
27. সকলই আমার পিতা আমার হাতে দিয়েছেন; আর পুত্রকে কেউ জানে না, কেবল পিতা জানেন; পিতাকে কেউ জানে না, কেবল পুত্র জানেন এবং পুত্র যার কাছে তাঁকে প্রকাশ করতে ইচ্ছা করেন, সে জানে।
28. হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোকেরা, আমার কাছে এসো, আমি তোমাদেরকে বিশ্রাম দেব।
29. আমার জোয়াল নিজের কাঁধে তুলে নেও এবং আমার কাছে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত; তাতে তোমরা নিজ নিজ প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাবে।
30. কারণ আমার জোয়াল সহজ ও আমার ভার লঘু।