9. তবুও আমি মহব্বতের দরুন বরং ফরিয়াদ করছি— আমি পৌল, এক জন বৃদ্ধ ব্যক্তি এবং এখন মসীহ্ ঈসার জন্য এক জন বন্দী—
10. আমি নিজের সন্তানের বিষয়ে, কারাগারে বন্দী অবস্থায় যাকে জন্ম দিয়েছি, সেই ওনীষিমের বিষয়ে তোমাকে ফরিয়াদ করছি।
11. সে আগে তোমার অনুপযোগী ছিল কিন্তু এখন তোমার ও আমার, উভয়ের উপযোগী।
12. তাকেই আমি তোমার কাছে ফিরে পাঠালাম, অর্থাৎ আমার নিজের প্রাণতুল্য ব্যক্তিকে পাঠালাম।
13. আমি তাকে আমার কাছে রাখতে চেয়েছিলাম যেন ইঞ্জিল তবলিগের জন্য আমার বন্দী অবস্থায় সে তোমার পরিবর্তে আমার পরিচর্যা করে।
14. কিন্তু তোমার সম্মতি ছাড়া কিছু করতে চাইলাম না, যেন তোমার সৎকাজ বাধ্যবাধকতার নয় বরং স্ব-ইচ্ছার ফল হয়।
15. কারণ হয়তো সে এই জন্যই অল্প সময়ের জন্য পৃথক হয়েছিল যেন তুমি অনন্তকালের জন্য তাকে পেতে পার।
16. কিন্তু তুমি তাকে পুনরায় গোলামের মত নয় বরং গোলামের চেয়ে বেশি কিছু, প্রিয় ভাইয়ের মত পাবে; বিশেষভাবে সে আমার প্রিয় এবং দৈহিক সমর্পকে ও প্রভুতে, উভয়ের সম্বন্ধে তোমার কত বেশি প্রিয়!
17. অতএব যদি তুমি আমাকে তোমার সহভাগী বলে জান তবে আমাকে যেভাবে গ্রহণ করতে তাকেও ঠিক সেভাবে গ্রহণ করো।
18. আর যদি সে তোমার প্রতি কোন অন্যায় করে থাকে কিংবা তোমার কাছে কোন বিষয়ে ঋণী থাকে তবে তা আমার বলে গণ্য কর;
19. আমি পৌল নিজের হাতে এই কথা লিখলাম; আমিই তা পরিশোধ করবো— তুমি যে নিজের বিষয়ে আমার কাছে ঋণে আবদ্ধ তোমাকে সেই কথা বলতে চাই না।
20. হ্যাঁ, ভাই, প্রভুতে তোমার কাছ থেকে আমার লাভ হোক; তুমি মসীহে আমার প্রাণ জুড়াও।
21. তোমার বাধ্যতায় আমার দৃঢ় বিশ্বাস আছে বলে তোমাকে লিখলাম। আমি যা বলেছি, আমি জানি যে, তুমি তার চেয়েও বেশি করবে।