7. কিন্তু তাতে আমার যে সব লাভ হয়েছিল, সেসব আমি মসীহের জন্য ক্ষতি বলে গণ্য করলাম।
8. আর বাস্তবিক আমার প্রভু মসীহ্ ঈসার জ্ঞানের শ্রেষ্ঠতার কারণে আমি সবই ক্ষতি বলে গণ্য করছি; তাঁর জন্য সব কিছুতেই ক্ষতি সহ্য করেছি এবং তা মলবৎ গণ্য করছি, যেন আমি মসীহ্কে লাভ করতে পারি,
9. এবং মসীহ্তেই যেন আমাকে দেখতে পাওয়া যায়; আমার নিজের ধার্মিকতা, যা শরীয়ত থেকে প্রাপ্য, তা যেন আমার না হয়, কিন্তু যে ধার্মিকতা মসীহের উপর ঈমানের মধ্য দিয়ে আসে— ঈমানের উপর ভিত্তি করে যে ধার্মিকতা আল্লাহ্ থেকে পাওয়া যায়, তা-ই যেন আমার হয়।
10. আমি মসীহ্কে ও তাঁর পুনরুত্থানের পরাক্রমকে এবং তাঁর দুঃখ-ভোগের সহভাগিতাকে যেন জানতে চাই, আর এভাবে যেন তাঁর মৃত্যুর সমরূপ হতে পারি;
11. যেন কোন মতে মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থানের ভাগী হতে পারি।
12. আমি যে এখন তা পেয়েছি, কিংবা এখনই লক্ষ্যে পৌঁছেছি তা নয়; কিন্তু যার জন্য মসীহ্ ঈসা কর্তৃক ধৃত হয়েছি, কোনক্রমে তা ধরবার চেষ্টায় দৌড়াচ্ছি।
13. ভাইয়েরা, আমি যে তা নিজের চেষ্টায় ধরেছি, নিজের বিষয়ে এমন মনে করি না; কিন্তু একটি কাজ করি, অতীতের বিষয়গুলো ভুলে গিয়ে সম্মুখস্থ বিষয়ের চেষ্টায় একাগ্র হয়ে,
14. লক্ষ্যের অভিমুখে দৌড়াতে দৌড়াতে আমি মসীহ্ ঈসাতে আল্লাহ্র বেহেশতী আহ্বানের পুরস্কার পাবার জন্য চেষ্টা করছি।
15. অতএব এসো, আমরা যত লোক পরিপক্ক, সকলেরই যেন একই মনোভাব থাকে; আর যদি কোন বিষয়ে তোমাদের অন্যরকম মনোভাব থাকে তবে আল্লাহ্ তোমাদের কাছে তাও প্রকাশ করবেন।
16. অতএব এসো, আমরা যে পর্যন্ত এসে পৌঁছেছি, সেই একই ধারায় চলি।
17. ভাইয়েরা, তোমরা সকলে মিলে আমার অনুকারী হও এবং আমরা যেমন তোমাদের আদর্শ, তেমনি আমাদের মত যারা চলে, তাদের প্রতি দৃষ্টি রাখ।