14. তোমরা বচসা ও তর্ক না করে সমস্ত কাজ কর,
15. যেন তোমরা অনিন্দনীয় ও নির্দোষ হও, এই কালের সেই কুটিল ও বিপথগামী লোকদের মধ্যে আল্লাহ্র নিষ্কলঙ্ক সন্তান হও, যাদের মধ্যে তোমরা দুনিয়াতে তারাগুলোর মত উজ্জ্বল হয়ে আছ।
16. সেই লোকদের সম্মুখে তোমরা জীবনের কালাম ধরে রাখ; এতে মসীহের দিনে আমি এই বলে গর্ব করতে পারব যে, আমি বৃথা দৌড়াই নি, বৃথা পরিশ্রমও করি নি।
17. কিন্তু তোমাদের ঈমানের কোরবানী ও সেবাকর্মের উপর যদি আমার রক্ত পেয় কোরবানী হিসেবে সেচন করা হয় তবুও আনন্দ করছি, আর তোমাদের সকলের সঙ্গে আনন্দ করছি।
18. সেই ভাবে তোমরাও আনন্দ কর, আর আমার সঙ্গে আনন্দ কর।
19. আমি ঈসা মসীহে প্রত্যাশা করছি যে, তীমথিকে শীঘ্রই তোমাদের কাছে পাঠাব যেন তোমাদের অবস্থা জেনে আমারও প্রাণ জুড়ায়।
20. কারণ আমার কাছে এমন আর কেউ নেই যে, তীমথির মত করে প্রকৃত-ভাবে তোমাদের বিষয় চিন্তা করে।
21. কেননা অন্য সকলে ঈসা মসীহের বিষয় নয় কিন্তু নিজ নিজ বিষয় চেষ্টা করে।
22. কিন্তু তোমরা তীমথির পক্ষে এই প্রমাণ পেয়েছ যে, পিতার সঙ্গে সন্তান যেমন, আমার সঙ্গে ইনি তেমনি ইঞ্জিলের জন্য গোলামীর কাজ করেছেন।
23. অতএব আশা করি, আমার প্রতি কি ঘটে তা দেখতে পাওয়া মাত্রই তাঁকে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেব।
24. আর প্রভুতে আমার দৃঢ় প্রত্যয় এই যে, আমি নিজেও শীঘ্রই উপস্থিত হবো।
25. আমার ভাই, সহকর্মী ও সহসেনা ইপাফ্রদীত, যাকে তোমারা আমার সেবাকারী হিসেবে ও আমার প্রয়োজন মিটাবার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছিলে, তাকে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া আমি দরকার মনে করলাম।
26. কেননা তিনি তোমাদের সকলকে দেখবার জন্য আকাঙক্ষী ছিলেন এবং তোমরা তাঁর অসুস্থতার সংবাদ শুনেছ বলে তিনি ব্যাকুল হয়েছিলেন।
27. আর বাস্তবিক তিনি অসুস্থতায় মরণাপন্ন অবস্থায় পরেছিলেন; কিন্তু আল্লাহ্ তাঁর প্রতি করুণা করেছেন, আর কেবল তাঁর প্রতি নয়, আমার প্রতিও রহম করেছেন যেন দুঃখের উপর দুঃখ আমার না হয়।
28. এজন্য আমি খুব আগ্রহের সঙ্গেই তাঁকে পাঠালাম, যেন তোমরা তাঁকে দেখে পুনর্বার আনন্দ কর, আমারও দুঃখের লাঘব হয়।
29. অতএব তোমরা তাঁকে প্রভুতে সম্পূর্ণ আনন্দ সহকারে গ্রহণ করো এবং এই রকম লোকদের সমাদর করো;
30. কেননা মসীহের সেবাকর্মের জন্য তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন, আমার জন্য যে কাজ করা তোমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না তখন তিনি নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সেই সেবার কাজ করেছিলেন।