19. কেননা আমি জানি, তোমাদের মুনাজাত এবং ঈসা মসীহের রূহের সহায়তায় তা আমার মুক্তির সপক্ষ হবে।
20. হ্যাঁ, আমার ঐকান্তিক আকাঙ্খা ও প্রত্যাশা এই যে, আমি কোনভাবে লজ্জিত হব না, বরং সমপূর্ণ সাহস সহকারে যেমন আগে তেমনি এখনও আমার জীবন দ্বারা হোক, বা মৃত্যু দ্বারা হোক, মসীহ্ আমার দেহে মহিমান্বিত হবেন।
21. কেননা আমার পক্ষে জীবন মসীহ্ এবং মরণ লাভ।
22. কিন্তু এই দেহে থাকতে যে জীবন, তাতে যদি আমার ফলবান কাজের সুযোগ হয়, তবে কোন্টি মনোনীত করবো তা বলতে পারি না।
23. অথচ আমি দুইয়ের মধ্যেই সঙ্কুচিত হচ্ছি; আমার বাসনা এই যে, প্রস্থান করে মসীহের সঙ্গে থাকি, কেননা তা বহুগুণে বেশি শ্রেয়;
24. কিন্তু এই দেহে জীবিত থাকা তোমাদের জন্য আরও বেশি প্রয়োজনীয়।
25. আর আমি নিশ্চিত-ভাবে এই বিষয় জানি যে, আমি বেঁচে থাকব, এমন কি, ঈমানে তোমাদের বৃদ্ধি ও আনন্দের জন্য তোমাদের সকলের কাছে থাকব,
26. যেন তোমাদের কাছে আমার ফিরে আসবার মধ্য দিয়ে মসীহ্ ঈসাতে তোমাদের যে গর্ব তা আমার মধ্যে উপচে পড়ে।
27. কেবল, মসীহের ইঞ্জিলের যোগ্যরূপে তাঁর লোকদের মত জীবন-যাপন কর; আমি এসে তোমাদের দেখি বা অনুপস্থিত থাকি, আমি যেন তোমাদের বিষয়ে শুনতে পাই যে, তোমরা এক রূহে স্থির আছ, এক প্রাণে ইঞ্জিলের ঈমানের পক্ষে মল্লযুদ্ধ করছো;
28. এবং কোন বিষয়েই বিপক্ষদের ভয় পাচ্ছো না। এটা ওদের জন্য বিনাশের, কিন্তু তোমাদের জন্য নাজাতের প্রমাণ, আর এটি আল্লাহ্র দেওয়া।
29. যেহেতু তোমাদের মসীহের খাতিরে এই রহমত দান করা হয়েছে যেন কেবল তাঁর উপর ঈমান আনতে পার তা নয়, কিন্তু তাঁর জন্য দুঃখভোগও করতে পার;
30. কারণ আমার মধ্যে যেরকম দেখেছ এবং এখনও আমার মধ্যে হচ্ছে বলে শুনতে পাচ্ছ তোমরাও সেই একই রকম কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছ।