10. পাখি, গৃহপালিত ও বন্য পশু, অর্থাৎ দুনিয়ার যত প্রাণী জাহাজ থেকে বের হয়েছে, তাদের সঙ্গে আমি আমার নিয়ম স্থির করবো।
11. আমি তোমাদের সঙ্গে আমার এই নিয়ম স্থির করলাম, বন্যা দ্বারা সমস্ত প্রাণীকে আর মুছে ফেলা হবে না এবং দুনিয়াকে বিনাশ করার জন্য বন্যা আর হবে না।
12. আল্লাহ্ আরও বললেন, আমি তোমাদের সঙ্গে ও তোমাদের সঙ্গী যাবতীয় প্রাণীর সঙ্গে চিরস্থায়ী পুরুষ-পরম্পরার জন্য যে নিয়ম স্থির করলাম, তার চিহ্ন এই—
13. আমি মেঘে আমার ধনু স্থাপন করবো, তা-ই দুনিয়ার সঙ্গে আমার নিয়মের চিহ্ন হবে।
14. যখন আমি দুনিয়ার উপরে মেঘের সঞ্চার করবো, তখন মেঘের মধ্যে সেই রংধনু দেখা যাবে;
15. তাতে তোমাদের সঙ্গে ও মরণশীল সমস্ত প্রাণীর সঙ্গে আমার যে নিয়ম আছে তা আমার স্মরণ হবে এবং সকল প্রাণীকে বিনাশ করার জন্য বন্যা আর হবে না।
16. আর রংধনু দেখা দিলে আমি তার প্রতি দৃষ্টিপাত করবো; তাতে জীবন্ত যত প্রাণী দুনিয়াতে আছে তাদের সঙ্গে স্থাপিত আমার চিরস্থায়ী নিয়ম আমি স্মরণ করবো।
17. আল্লাহ্ নূহ্কে বললেন, দুনিয়ার সমস্ত প্রাণীর সঙ্গে আমার স্থাপিত নিয়মের এই চিহ্ন হবে।
18. নূহের যে পুত্রেরা জাহাজ থেকে বের হলেন, তাঁদের নাম সাম, হাম ও ইয়াফস; আর হাম ছিলেন কেনানের পিতা;
19. এই তিন জন নূহের পুত্র, এঁদেরই বংশ সারা দুনিয়াতে ছড়িয়ে পড়লো।
20. পরে নূহ্ কৃষিকর্ম শুরু করে প্রথমেই একটি আঙ্গুর ক্ষেত করলেন।