7. তখন মাবুদ বললেন, আমি যে মানুষকে সৃষ্টি করেছি তাকে দুনিয়া থেকে মুছে ফেলবো; মানুষের সঙ্গে পশু, সরীসৃপ জীব ও আসমানের পাখিদেরকেও মুছে ফেলবো; কেননা তাদের সৃষ্টি করার দরুন আমার অনুশোচনা হচ্ছে।
8. কিন্তু নূহ্ মাবুদের দৃষ্টিতে অনুগ্রহ লাভ করলেন।
9. নূহের বংশ-বৃত্তান্ত এই। নূহ্ তাঁর সময়কার লোকদের মধ্যে ধার্মিক ও খাঁটি লোক ছিলেন এবং তিনি আল্লাহ্র সঙ্গে গমনাগমন করতেন।
10. নূহ্ সাম, হাম ও ইয়াফস নামে তিন পুত্রের জন্ম দেন।
11. সেই সময় দুনিয়া আল্লাহ্র দৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো এবং দুনিয়া জোর-জুলুমে পরিপূর্ণ হয়েছিলো।
12. আর আল্লাহ্ দুনিয়ার দিকে দৃষ্টিপাত করলেন, আর দেখ, সে ভ্রষ্ট হয়েছে, কেননা দুনিয়ার সমস্ত প্রাণী তাদের আচার-আচরণে কলুষিত হয়েছিল।
13. তখন আল্লাহ্ নূহ্কে বললেন, আমি সমস্ত প্রাণী ধ্বংস করে ফেলতে মনস্থির করেছি, কেননা তাদের দ্বারা দুনিয়া জোর-জুলুমে পরিপূর্ণ হয়েছে; আর দেখ, আমি দুনিয়ার সঙ্গে তাদেরকে বিনষ্ট করবো।
14. তুমি গোফর কাঠ দিয়ে একটি জাহাজ তৈরি কর; সেই জাহাজের মধ্যে কুঠরী তৈরি করবে ও তার ভিতরে ও বাইরে আলকাতরা দিয়ে লেপন করবে।
15. এইভাবে তা তৈরি করবে। জাহাজ লম্বায় তিন শত হাত, চওড়ায় পঞ্চাশ হাত ও উচ্চতায় ত্রিশ হাত হবে।
16. তার ছাদের এক হাত নিচে জানালা প্রস্তুত করে রাখবে ও জাহাজের পাশে দরজা রাখবে; তার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা তৈরি করবে।
17. আর দেখ, আসমানের নিচে প্রাণবায়ুবিশিষ্ট যত জীবজন্তু আছে, তাদের সকলকে বিনষ্ট করার জন্য আমি দুনিয়ার উপরে বন্যা নিয়ে আসবো, আর দুনিয়ার সকলে প্রাণত্যাগ করবে।
18. কিন্তু তোমার সঙ্গে আমি আমার নিয়ম স্থির করবো; তুমি তোমার পুত্ররা, স্ত্রী ও পুত্রবধূদেরকে সঙ্গে নিয়ে সেই জাহাজে প্রবেশ করবে।
19. সমস্ত জীবজন্তুর স্ত্রী-পুরুষ জোড়া জোড়া নিয়ে তাদের প্রাণ রক্ষা করার জন্য তোমার সঙ্গে সেই জাহাজে প্রবেশ করাবে;
20. সব জাতের পাখি ও সব জাতের পশু ও সব জাতের ভূচর সরীসৃপ জোড়া জোড়া প্রাণ রক্ষা করার জন্য তোমার কাছে আসবে।
21. আর তোমার ও তাদের আহারের জন্য তুমি সব রকমের খাবার জিনিস এনে তোমার কাছে মজুদ করবে।
22. তাতে নূহ্ সেরকম করলেন, আল্লাহ্র হুকুম অনুসারেই সমস্ত কাজ করলেন।