4. তারা ফেরাউনকে আরও বললেন, আমরা এই দেশে প্রবাস করতে এসেছি, কারণ আপনার এই গোলামদের পশুপালের চরে খাবার ঘাস নেই, কারণ কেনান দেশে ভীষণ দুর্ভিক্ষ হয়েছে। অতএব আরজ করি, আপনার এই গোলামদেরকে গোশন প্রদেশে বাস করতে দিন।
5. ফেরাউন ইউসুফকে বললেন, তোমার পিতা ও ভাইয়েরা তোমার কাছে এসেছে;
6. মিসর দেশ তোমার সম্মুখে রয়েছে; দেশের উত্তম স্থানে তোমার পিতা ও ভাইদেরকে বাস করাও; তারা গোশন প্রদেশে বাস করুক; আর যদি তাদের মধ্যে যোগ্য লোক পাও, তবে আমার পশুপালের দেখাশুনা করার ভার তাদের উপর দাও।
7. পরে ইউসুফ তাঁর পিতা ইয়াকুবকে আনিয়ে ফেরাউনের সম্মুখে উপস্থিত করলেন, আর ইয়াকুব ফেরাউনকে দোয়া করলেন।
8. তখন ফেরাউন ইয়াকুবকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনার বয়স কত?
9. ইয়াকুব ফেরাউনকে বললেন, আমার প্রবাসকালের এক শত ত্রিশ বছর হয়েছে; আমার আয়ুর এই অল্প দিনগুলো কষ্টেই কেটেছে এবং আমার পূর্বপুরুষদের প্রবাসকালের আয়ুর মত হয় নি।
10. পরে ইয়াকুব ফেরাউনকে দোয়া করে তাঁর সম্মুখ থেকে বিদায় নিলেন।
11. তখন ইউসুফ ফেরাউনের হুকুম অনুসারে মিসর দেশের উত্তম অঞ্চলে অথাৎ রামিষেষ প্রদেশে অধিকার দিয়ে তাঁর পিতা ও ভাইদেরকে বসিয়ে দিলেন।
12. আর ইউসুফ তাঁর পিতা ও ভাইদেরকে এবং পিতার সমস্ত পরিজনকে তাঁদের পরিবার অনুসারে খাদ্যদ্রব্য দিয়ে প্রতিপালন করলেন।
13. সেই সময় সমগ্র দেশে কোন খাদ্যদ্রব্য ছিল না, কারণ ভীষণ দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, তাতে দুর্ভিক্ষের দরুন মিসর ও কেনান দেশের লোকেরা হতাশ হয়ে পড়লো।
14. আর মিসর ও কেনান দেশে যত টাকা ছিল, লোকে তা দিয়ে শস্য ক্রয় করাতে ইউসুফ সেই সমস্ত টাকা সংগ্রহ করে ফেরাউনের ভাণ্ডারে আনলেন।
15. মিসর ও কেনান দেশে লোকদের টাকা শেষ হয়ে গেলে মিসরীয়েরা সকলে ইউসুফের কাছে এসে বললো, আমাদেরকে খাদ্যদ্রব্য দিন, আমাদের টাকা শেষ হয়ে গেছে বলে আমরা কি আপনার সম্মুখে মারা যাবো?