18. পরে তৃতীয় দিনে ইউসুফ তাঁদেরকে বললেন, এক কাজ কর, তাতে বাঁচবে; আমি আল্লাহ্কে ভয় করি।
19. তোমরা যদি সৎলোক হও, তবে তোমাদের এক ভাই এই কারাগারে বন্দী থাকুক; তোমরা নিজ নিজ বাড়ির দুর্ভিক্ষের জন্য শস্য নিয়ে যাও;
20. পরে তোমাদের ছোট ভাইকে আমার কাছে এনো; এভাবে তোমাদের কথা প্রমাণিত হলে তোমরা মারা যাবে না। তাঁরা তা-ই করলেন।
21. আর তাঁরা একে অপরকে বললেন, নিশ্চয়ই আমরা আমাদের ভাইয়ের বিষয়ে অপরাধী, কেননা সে আমাদের কাছে বিনতি করলে আমরা তার প্রাণের কষ্ট দেখেও তা শুনি নি; এজন্য আমাদের উপর এই সঙ্কট উপস্থিত হয়েছে।
22. তখন রূবেণ উত্তরে তাঁদের বললেন, আমি না তোমাদেরকে বলেছিলাম, বালকটির বিরুদ্ধে গুনাহ্ করো না কিন্তু তোমরা তা শোন নি; দেখ, এখন তার রক্তেরও হিসাব দিতে হচ্ছে।
23. কিন্তু ইউসুফ যে তাঁদের এই কথা বুঝতে পারলেন তা তাঁরা জানতে পারলেন না, কেননা দোভাষী দ্বারা উভয় পক্ষের মধ্যে কথাবার্তা হচ্ছিল।
24. তখন তিনি তাঁদের কাছ থেকে সরে গিয়ে কাঁদলেন; পরে ফিরে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন ও তাঁদের মধ্যে শিমিয়োনকে ধরে তাঁদের সাক্ষাতেই বাঁধলেন।
25. পরে ইউসুফ তাঁদের সমস্ত বস্তায় শস্য ভরতে, প্রত্যেক জনের বস্তায় টাকা ফিরিয়ে দিতে ও তাঁদেরকে পাথেয় দ্রব্য দিতে হুকুম দিলেন; আর তাঁদের জন্য তা-ই করা হল।
26. পরে তাঁরা নিজ নিজ গর্দভের উপরে শস্য চাপিয়ে সেই স্থান থেকে প্রস্থান করলেন।
27. কিন্তু পান্থনিবাসে যখন এক জন তাঁর গাধাকে আহার দিতে বস্তা খুললেন, তখন বস্তার মুখেই নিজের টাকা দেখতে পেলেন।
28. তাতে তিনি ভাইদের বললেন, আমার টাকা ফিরেছে; দেখ, আমার বস্তাতেই রয়েছে। তখন তাঁদের প্রাণ উড়ে গেল ও সকলে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বললেন, আল্লাহ্ আমাদের প্রতি এ কি করলেন?
29. পরে তাঁরা কেনান দেশে তাঁদের পিতা ইয়াকুবের কাছে উপস্থিত হলেন ও তাঁদের প্রতি যা যা ঘটেছিল, সেই সমস্ত তাঁকে জানালেন,