13. তখন কেউ তামরকে বললো, দেখ, তোমার শ্বশুর তাঁর ভেড়ার লোম কাটতে তিম্নায় যাচ্ছেন।
14. তখন সে বিধবার কাপড়-চোপড় ত্যাগ করে আবরণ দ্বারা নিজেকে আচ্ছাদন করলো ও গায়ে কাপড় দিয়ে তিম্নার পথের পার্শ্বস্থিত ঐনয়িমের প্রবেশস্থানে বসে রইলো; কারণ সে দেখতে পেল, শেলা বড় হলেও তার সঙ্গে তার বিয়ে হল না।
15. পরে এহুদা তাকে দেখে পতিতা মনে করলো, কেননা সে মুখ আচ্ছাদন করেছিল।
16. অতএব সে পুত্রবধূকে চিনতে না পারাতে পথের পার্র্শ্বে তার কাছে গিয়ে বললো, এসো, তোমার সঙ্গে শয়ন করি। তামর বললো, আমার সঙ্গে শয়ন করার জন্য তুমি কি দিতে পারবে?
17. সে বললো, পাল থেকে একটি ছাগলের বাচ্চা পাঠিয়ে দেব। তামর বললো, যতক্ষণ তা না পাঠাও ততক্ষণ আমার কাছে কি কিছু বন্ধক রাখবে?
18. সে বললো, কি বন্ধক রাখবো? তামর বললো, তোমার এই মোহর ও সুতা ও হাতের লাঠি। তখন সে তাকে সেগুলো দিয়ে তার সঙ্গে শয়ন করলো; তাতে সে তার দ্বারা গর্ভবতী হল।
19. পরে সে উঠে চলে গেল এবং সেই আবরণ ত্যাগ করে নিজের বিধবার পোশাক পরলো।
20. পরে এহুদা সেই স্ত্রীলোকের কাছ থেকে বন্ধক রাখা জিনিসগুলো নেবার জন্য তাঁর অদুল্লমীয় বন্ধুর হাতে ছাগলের বাচ্চাটি পাঠিয়ে দিল, কিন্তু সে তাকে খুঁজে পেল না।
21. তখন সে সেখানকার লোকদের জিজ্ঞাসা করলো, ঐনয়িমে পথের পাশে যে পতিতা ছিল, সে কোথায়? তারা বললো, এই স্থানে কোন পতিতা আসে নি।
22. পরে সে এহুদার কাছে ফিরে গিয়ে বললো, আমি তাকে পেলাম না এবং সেখানকার লোকেরাও বললো, এই স্থানে কোন পতিতা আসে নি।
23. তখন এহুদা বললো, তার কাছে যা আছে সে তা রাখুক, নতুবা আমরা লজ্জায় পড়বো। দেখ, আমি এই ছাগলের বাচ্চাটি পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু তুমি তাকে পেলে না।