7. দেখ, আমরা ক্ষেতে আটি বাঁধছিলাম, আর দেখ, আমার আটি উঠে দাঁড়িয়ে রইলো এবং দেখ, তোমাদের সমস্ত আটি আমার আটিকে চারদিকে ঘিরে ভূমিতে উবুড় হয়ে সম্মান দেখালো।
8. এতে তার ভাইয়েরা তাকে বললো, তুই কি সত্যিই আমাদের বাদশাহ্ হবি? আমাদের উপরে সত্যি কর্তৃত্ব করবি? ফলে তারা তার স্বপ্ন ও তার কথার জন্য তাকে আরও হিংসা করতে লাগল।
9. পরে সে আরও একটি স্বপ্ন দেখে ভাইদেরকে তার বৃত্তান্ত বললো। সে বললো, দেখ, আমি আর একটি স্বপ্ন দেখলাম, দেখ, সূর্য, চন্দ্র ও এগারটি নক্ষত্র আমাকে ভূমিতে উবুড় হয়ে সম্মান দেখালো।
10. সে তার পিতা ও ভাইদেরকে এর বৃত্তান্ত বললো, তাতে তার পিতা তাকে ধমক দিয়ে বললেন, তুমি এ কেমন স্বপ্ন দেখলে? আমি, তোমার মা ও তোমার ভাইয়েরা, আমরা কি বাস্তবিক তোমার কাছে ভূমিতে উবুড় হয়ে সম্মান দেখাতে আসবো?
11. আর তার ভাইয়েরা তার প্রতি ঈর্ষা করতে লাগল, কিন্তু তার পিতা সেই কথা মনে রাখলেন।
12. একদিন তার ভাইয়েরা পিতার পশুপাল চরাতে শিখিমে গিয়েছিল।
13. তখন ইসরাইল ইউসুফকে বললেন, তোমার ভাইয়েরা কি শিখিমে পশুপাল চরাচ্ছে না? এসো, আমি তাদের কাছে তোমাকে পাঠাই।
14. সে বললো, দেখুন, এ আমি। তখন তিনি তাকে বললেন, তুমি গিয়ে তোমার ভাইদের কুশল ও পশুপালের কুশল জেনে আমাকে সংবাদ এনে দাও। এভাবে তিনি হেবরনের উপত্যকা থেকে ইউসুফকে পাঠালে সে শিখিমে উপস্থিত হল।
15. তখন এক জন লোক তাকে দেখতে পেল, আর দেখ, সে মরুপ্রান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছে; সেই লোকটি তাকে জিজ্ঞাসা করলো, কিসের খোঁজ করছো?
16. সে বললো, আমার ভাইদের খোঁজ করছি; অনুগ্রহ করে আমাকে বলো, তারা কোথায় পশুপাল চরাচ্ছেন।
17. সেই ব্যক্তি বললো, তারা এই স্থান থেকে চলে গেছে, কেননা ‘চল, দোথনে যাই’, তাদের এই কথা শুনেছিলাম। পরে ইউসুফ তাঁর ভাইদের পেছন পেছন গিয়ে দোথনে তাদের দেখা পেল।
18. তারা দূর থেকে তাকে দেখতে পেল এবং সে কাছে উপস্থিত হবার আগে তাকে মেরে ফেলবার জন্য ষড়যন্ত্র করলো।
19. তারা পরস্পর বললো, ঐ দেখ, স্বপ্ন দর্শনকারী হুজুর আসছেন;
20. এখন এসো, আমরা ওকে খুন করে একটা গর্তে ফেলে দিই; পরে বলবো, কোন হিংস্র জন্তু তাকে খেয়ে ফেলেছে; তাতে দেখবো, ওর স্বপ্নের কি হয়।
21. রূবেণ এই কথা শুনে তাদের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করার জন্য বললো, না, আমরা ওকে প্রাণে মারব না।