23. পরে ইউসুফ তাঁর ভাইদের কাছে আসলে তারা তার শরীর থেকে সেই পোশাক, সেই লম্বা কোর্তাখানি খুলে নিল;
24. আর তাকে ধরে গর্তের মধ্যে ফেলে দিল। সেই গর্তটি ছিল শূন্য, তাতে পানি ছিল না।
25. পরে তারা আহার করতে বসলো এবং চোখ তুলে চাইল, আর দেখ, গিলিয়দ থেকে এক দল ইসমাইলীয় ব্যবসায়ী আসছে; তারা উটে করে সুগন্ধি দ্রব্য, গুগ্গুল ও গন্ধরস নিয়ে মিসর দেশে যাচ্ছিল।
26. তখন এহুদা তাঁর ভাইদেরকে বললো, আমাদের ভাইকে খুন করে তা গোপন করলে আমাদের কি লাভ?
27. এসো, আমরা ঐ ইসমাইলীয়দের কাছে তাকে বিক্রি করি, আমরা তার গায়ে হাত তুলবো না; কেননা সে আমাদের ভাই, আমাদের দেহে একই রক্ত বইছে। এতে তার ভাইয়েরা সম্মত হল।
28. পরে মাদিয়ানীয় বণিকেরা কাছে আসলে ওরা ইউসুফকে গর্ত থেকে টেনে তুললো এবং বিশটি রূপার মুদ্রার বিনিময়ে সেই ইসমাইলীয়দের কাছে ইউসুফকে বিক্রি করলো; আর তারা ইউসুফকে মিসর দেশে নিয়ে গেল।
29. পরে রূবেণ গর্তের কাছে ফিরে গেল, আর দেখ, ইউসুফ সেখানে নেই; তখন সে তার পোশাক ছিঁড়লো,
30. আর ভাইদের কাছে ফিরে এসে বললো, যুবকটি নেই, এবার আমি! আমি কোথায় যাই?
31. পরে তারা ইউসুফের সেই কোর্তাখানি নিয়ে একটা ছাগল মেরে তার রক্তে তা ডুবালো;
32. আর লোক পাঠিয়ে সেই কোর্তাখানি পিতার কাছে উপস্থিত করে বললো, আমরা এটা কুড়িয়ে পেয়েছি, পরীক্ষা করে দেখ এটি তোমার পুত্রের পোশাক কি না?
33. তিনি চিনতে পেরে বললেন, এই তো আমার পুত্রেরই পোশাক; কোন হিংস্র জন্তু তাকে খেয়ে ফেলেছে, ইউসুফের দেহ অবশ্যই খণ্ডবিখণ্ড হয়েছে।
34. তখন ইয়াকুব তাঁর কাপড় ছিঁড়ে কোমরে চট পরে পুত্রের জন্য অনেক দিন পর্যন্ত শোক করলেন।