4. তাতে তারা তাদের কাছে যেসব বিজাতীয় দেবমূর্তি ও কানের গহনা ছিল, তা সবই ইয়াকুবকে দিল এবং তিনি ঐ সকল শিখিমের নিকটবর্তী এলা গাছের তলে পুঁতে রাখলেন।
5. পরে তাঁরা সেখান থেকে যাত্রা করলেন। তখন চারদিকের নগরগুলোতে আল্লাহ্ থেকে বিপদ উপস্থিত হল, তাই সেখানকার লোকেরা ইয়াকুবের পুত্রদের পিছনে তাড়া করে এলো না।
6. পরে ইয়াকুব ও তাঁর সঙ্গীরা সকলে কেনান দেশের লূস নগরে অর্থাৎ বেথেলে উপস্থিত হলেন।
7. সেখানে তিনি একটি কোরবানগাহ্ তৈরি করে সেই স্থানের নাম এল্-বৈথেল (বৈথেলের আল্লাহ্) রাখলেন; কারণ ভাইয়ের সম্মুখ থেকে তাঁর পলায়নকালে আল্লাহ্ সেই স্থানে তাঁকে দর্শন দিয়েছিলেন।
8. সে সময় রেবেকার ধাত্রী দবোরার মৃত্যু হল এবং বেথেলের অধঃস্থিত অলোন গাছের তলে তার কবর হল। সেই স্থানের নাম অলোন্-বাখুৎ (রোদন-বৃক্ষ) রাখা হল।
9. পদ্দন্-অরাম থেকে ইয়াকুব ফিরে আসলে আল্লাহ্ তাঁকে পুনর্বার দর্শন দিয়ে দোয়া করলেন।
10. ফলত আল্লাহ্ তাঁকে বললেন, তোমার নাম ইয়াকুব; লোকে তোমাকে আর ইয়াকুব বলবে না, তোমার নাম ইসরাইল হবে; আর তিনি তাঁর নাম ইসরাইল রাখলেন।
11. আল্লাহ্ তাঁকে আরও বললেন, আমিই সর্বশক্তিমান আল্লাহ্, তুমি প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও; তোমার মধ্য থেকে একটি জাতি, এমন কি, বহুজাতি উৎপন্ন হবে, আর তোমার বংশ থেকে অনেক বাদশাহ্ উৎপন্ন হবে।
12. আর আমি ইব্রাহিম ও ইস্হাককে যে দেশ দান করেছি সেই দেশ তোমাকে ও তোমার ভবিষ্যৎ বংশকে দেব।
13. সেই স্থানে তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলে আল্লাহ্ তাঁর কাছ থেকে উপরের দিকে উঠে গেলেন।
14. আর ইয়াকুব সেই কথোপকথন স্থানে একটি স্তম্ভ, পাথরের স্তম্ভ, স্থাপন করে তার উপরে পেয় নৈবেদ্য উৎসর্গ করলেন ও তেল ঢেলে দিলেন।