7. ইয়াকুবের পুত্ররাও ঐ সংবাদ পেয়ে মাঠ থেকে এসেছিল; তারা ক্ষুব্ধ ও ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়েছিল, কেননা ইয়াকুবের কন্যার সঙ্গে শয়ন করে শিখিম ইসরাইলের প্রতি অত্যন্ত অন্যায় করেছিল।
8. তখন হমোর তাদের বললো, তোমাদের সেই কন্যার প্রতি আমার পুত্র শিখিমের প্রাণ আসক্ত হয়েছে; নিবেদন করি আমার পুত্রের সঙ্গে তার বিয়ে দাও।
9. তোমরা আমাদের সঙ্গে আত্মীয়তা কর; তোমাদের কন্যাদের আমাদেরকে দান কর এবং আমাদের কন্যাদেরকে তোমরা গ্রহণ কর।
10. আর আমাদের সঙ্গে বাস করো; এই দেশ তোমাদের সম্মুখেই রইলো, তোমরা এখানে বসতি ও বাণিজ্য কর, এখানে অধিকার গ্রহণ কর।
11. আর শিখিম দীণার পিতাকে ও ভাইদেরকে বললো, আমার প্রতি তোমাদের অনুগ্রহ দৃষ্টি হোক; তা হলে যা বলবে, তা-ই দেব।
12. যৌতুক ও দান যত বেশি চাইবে, তোমাদের কথা অনুসারে তা-ই দেব; কোন মতে আমার সঙ্গে ঐ কন্যার বিয়ে দাও।
13. কিন্তু সে তাদের বোন দীণার ইজ্জত নষ্ট করেছিল বলে ইয়াকুবের পুত্ররা ছলপূর্বক আলাপ করে শিখিমকে ও তার পিতা হামোরকে উত্তর দিল;
14. তারা তাদেরকে বললো, খৎনা করানো হয় নি এমন লোককে যে আমাদের বোন দিই, এমন কাজ আমরা করতে পারি না; করলে আমাদের দুর্নাম হবে।
15. কেবল এই কাজ করলে আমরা তোমাদের কথায় সম্মত হবো; আমাদের মত তোমরা প্রত্যেক পুরুষের যদি খৎনা করাও,
16. তবে আমরা আমাদের কন্যাদের তোমাদের দেব এবং তোমাদের কন্যাদের আমরা গ্রহণ করবো ও তোমাদের সঙ্গে বাস করে এক জাতি হবো।
17. কিন্তু যদি খৎনার বিষয়ে আমাদের কথা না শোন, তবে আমরা আমাদের ঐ কন্যাকে নিয়ে চলে যাব।
18. তখন তাদের এই কথায় হমোর ও তার পুত্র শিখিম সন্তুষ্ট হল।
19. আর সেই যুবক অবিলম্বে সেই কাজ করলো, কেননা সে ইয়াকুবের কন্যার প্রতি আসক্ত হয়েছিল; আর সে ছিল তাঁর পিতৃকূলে সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত।
20. পরে হমোর ও তার পুত্র শিখিম তার নগরের দ্বারে এসে নগর-নিবাসীদের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে বললো,
21. সেই লোকদের সঙ্গে আমাদের কোন বিরোধ নেই; অতএব তারা এই দেশে বাস ও বাণিজ্য করুক; কেননা দেখ, তাদের সম্মুখে দেশটি সুপ্রশস্ত; এসো, আমরা তাদের কন্যাদেরকে গ্রহণ করি ও আমাদের কন্যাদের তাদেরকে দিই।
22. কিন্তু তাদের একটি পণ আছে, আমাদের মধ্যে প্রত্যেক পুরুষ যদি তাদের মত খৎনা করানো হয় তবে তারা আমাদের সঙ্গে বাস করে এক জাতি হতে সম্মত আছে।
23. আর তাদের ধন, সম্পত্তি ও সমস্ত পশু কি আমাদের হবে না? আমরা তাদের কথায় সম্মত হলেই তারা আমাদের সঙ্গে বাস করবে।