34. তখন লাবন বললেন, দেখ, তোমার কথা অনুসারেই হোক।
35. পরে তিনি সেদিন রেখাঙ্কিত ও বড় বড় ছাপযুক্ত ছাগলগুলো এবং বিন্দুচিহ্নিত ও বড় বড় ছাপযুক্ত, যাতে যাতে কিঞ্চিৎ সাদা রংয়ের ছিল, এমন ছাগীগুলো এবং কালো রংয়ের ভেড়াগুলো পৃথক করে তাঁর পুত্রদের হাতে দিলেন,
36. এবং নিজের ও ইয়াকুবের মধ্যে তিন দিনের পথ ব্যবধান রাখলেন। এরপর ইয়াকুব লাবনের অবশিষ্ট পশুপাল চরাতে লাগলেন।
37. ইয়াকুব লিব্নী, লুস ও আর্মোণ গাছের সরস ডাল কেটে তার ছাল খুলে কাঠের সাদা রেখা বের করলেন।
38. পরে যে স্থানে পশুপাল পানি পান করার জন্য আসে, সেই স্থানে পালের সম্মুখে চৌবাচ্চার মধ্যে ঐ ছালশূন্য রেখাবিশিষ্ট ডালগুলো রাখতে লাগলেন; তাতে পানি পান করার সময়ে তারা গর্ভধারণ করতো।
39. আর সেই ডালের কাছে তাদের গর্ভধারণের ফলে রেখাঙ্কিত ও বিন্দুচিহ্নিত ও বড় বড় ছাপযুক্ত বাচ্চা জন্মগ্রহণ করতো।
40. পরে ইয়াকুব সেসব বাচ্চা পৃথক করতেন এবং লাবনের রেখাঙ্কিত ও কালো রংয়ের ভেড়ার প্রতি ভেড়ীগুলোর দৃষ্টি রাখতেন; এভাবে তিনি লাবনের পালের সঙ্গে না রেখে নিজের পালকে পৃথক করতেন।
41. আর বলবান সমস্ত পশু যেন ডালের কাছে গর্ভধারণ করে, এজন্য চৌবাচ্চার মধ্যে পশুদের সম্মুখে ঐ ডাল রাখতেন;
42. কিন্তু দুর্বল পশুদের সম্মুখে রাখতেন না। তাতে দুর্বল পশুগুলো লাবনের ও বলবান পশুগুলো ইয়াকুবের হত।
43. আর ইয়াকুব খুব ধনী হয়ে উঠলেন। তাঁর পশু ও গোলাম-বাঁদী এবং উট ও গাধা ছিল যথেষ্ট।