পয়দায়েশ 30:31-40 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

31. তাতে লাবন বললেন, আমি তোমাকে কি দেব? ইয়াকুব বললেন, আপনি আমাকে আর কিছুই না দিয়ে যদি আমার জন্য এক কাজ করেন তবে আমি আপনার পশুদেরকে পুনর্বার চরাব ও পালন করবো।

32. আজ আমি আপনার সমস্ত পশুপালের মধ্য দিয়ে যাবো; আমি ভেড়াগুলোর মধ্যে বিন্দুচিহ্নিত, বড় বড় ছাপযুক্ত ও কালো রংয়ের এবং ছাগলগুলোর মধ্যে বড় বড় ছাপযুক্ত ও বিন্দুচিহ্নিতগুলোকে পৃথক করবো; সেগুলো আমার বেতন হবে।

33. এর পরে আপনি যখন আমার বেতন যাচাই করার জন্য আসবেন, তখন আমার ধার্মিকতা আমার পক্ষে উত্তর দেবে; ফলত ছাগলগুলোর মধ্যে বিন্দু-চিহ্নিত, বা বড় বড় ছাপযুক্ত ছাড়া ও ভেড়াগুলোর মধ্যে কালো ছাড়া যা থাকবে, সেগুলো আমার চুরির মাল বলে গণ্য হবে।

34. তখন লাবন বললেন, দেখ, তোমার কথা অনুসারেই হোক।

35. পরে তিনি সেদিন রেখাঙ্কিত ও বড় বড় ছাপযুক্ত ছাগলগুলো এবং বিন্দুচিহ্নিত ও বড় বড় ছাপযুক্ত, যাতে যাতে কিঞ্চিৎ সাদা রংয়ের ছিল, এমন ছাগীগুলো এবং কালো রংয়ের ভেড়াগুলো পৃথক করে তাঁর পুত্রদের হাতে দিলেন,

36. এবং নিজের ও ইয়াকুবের মধ্যে তিন দিনের পথ ব্যবধান রাখলেন। এরপর ইয়াকুব লাবনের অবশিষ্ট পশুপাল চরাতে লাগলেন।

37. ইয়াকুব লিব্‌নী, লুস ও আর্মোণ গাছের সরস ডাল কেটে তার ছাল খুলে কাঠের সাদা রেখা বের করলেন।

38. পরে যে স্থানে পশুপাল পানি পান করার জন্য আসে, সেই স্থানে পালের সম্মুখে চৌবাচ্চার মধ্যে ঐ ছালশূন্য রেখাবিশিষ্ট ডালগুলো রাখতে লাগলেন; তাতে পানি পান করার সময়ে তারা গর্ভধারণ করতো।

39. আর সেই ডালের কাছে তাদের গর্ভধারণের ফলে রেখাঙ্কিত ও বিন্দুচিহ্নিত ও বড় বড় ছাপযুক্ত বাচ্চা জন্মগ্রহণ করতো।

40. পরে ইয়াকুব সেসব বাচ্চা পৃথক করতেন এবং লাবনের রেখাঙ্কিত ও কালো রংয়ের ভেড়ার প্রতি ভেড়ীগুলোর দৃষ্টি রাখতেন; এভাবে তিনি লাবনের পালের সঙ্গে না রেখে নিজের পালকে পৃথক করতেন।

পয়দায়েশ 30