26. আমি যাদের জন্য আপনার গোলামীর কাজ করেছি, আমার সেই স্ত্রীদের ও সন্তানদের আমাকে দিন ও আমাকে চলে যেতে দিন; কেননা আমি যেভাবে পরিশ্রম করে আপনার গোলামী করেছি, তা আপনি জানেন।
27. তখন লাবন তাঁকে বললেন, আমি যদি তোমার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ পেয়ে থাকি তবে থাক; কেননা আমি অনুভবে জানলাম, তোমার অনুরোধে মাবুদ আমাকে দোয়া করলেন।
28. তিনি আরও বললেন, তোমার বেতন স্থির করে আমাকে বলো, আমি দেব।
29. তখন ইয়াকুব তাঁকে বললেন, আমি যেভাবে আপনার গোলামীর কাজ করেছি এবং আমার কাছে আপনার যেরকম পশুধন হয়েছে তা আপনি জানেন।
30. কেননা আমার আসবার আগে আপনার অল্প সম্পত্তি ছিল, এখন বৃদ্ধি পেয়ে প্রচুর হয়েছে; আমার যত্নে মাবুদ আপনাকে দোয়া করেছেন; কিন্তু আমি নিজের পরিবারের জন্য কবে সঞ্চয় করবো?
31. তাতে লাবন বললেন, আমি তোমাকে কি দেব? ইয়াকুব বললেন, আপনি আমাকে আর কিছুই না দিয়ে যদি আমার জন্য এক কাজ করেন তবে আমি আপনার পশুদেরকে পুনর্বার চরাব ও পালন করবো।
32. আজ আমি আপনার সমস্ত পশুপালের মধ্য দিয়ে যাবো; আমি ভেড়াগুলোর মধ্যে বিন্দুচিহ্নিত, বড় বড় ছাপযুক্ত ও কালো রংয়ের এবং ছাগলগুলোর মধ্যে বড় বড় ছাপযুক্ত ও বিন্দুচিহ্নিতগুলোকে পৃথক করবো; সেগুলো আমার বেতন হবে।
33. এর পরে আপনি যখন আমার বেতন যাচাই করার জন্য আসবেন, তখন আমার ধার্মিকতা আমার পক্ষে উত্তর দেবে; ফলত ছাগলগুলোর মধ্যে বিন্দু-চিহ্নিত, বা বড় বড় ছাপযুক্ত ছাড়া ও ভেড়াগুলোর মধ্যে কালো ছাড়া যা থাকবে, সেগুলো আমার চুরির মাল বলে গণ্য হবে।
34. তখন লাবন বললেন, দেখ, তোমার কথা অনুসারেই হোক।
35. পরে তিনি সেদিন রেখাঙ্কিত ও বড় বড় ছাপযুক্ত ছাগলগুলো এবং বিন্দুচিহ্নিত ও বড় বড় ছাপযুক্ত, যাতে যাতে কিঞ্চিৎ সাদা রংয়ের ছিল, এমন ছাগীগুলো এবং কালো রংয়ের ভেড়াগুলো পৃথক করে তাঁর পুত্রদের হাতে দিলেন,
36. এবং নিজের ও ইয়াকুবের মধ্যে তিন দিনের পথ ব্যবধান রাখলেন। এরপর ইয়াকুব লাবনের অবশিষ্ট পশুপাল চরাতে লাগলেন।
37. ইয়াকুব লিব্নী, লুস ও আর্মোণ গাছের সরস ডাল কেটে তার ছাল খুলে কাঠের সাদা রেখা বের করলেন।