4. আর ইয়াকুব তাদেরকে বললেন, ভাইয়েরা, তোমরা কোন্ স্থানের লোক? তারা বললো, আমরা হারণ-নিবাসী।
5. তখন তিনি বললেন, নাহোরের পৌত্র লাবনকে কি চেনো?
6. তারা বললো, চিনি। তিনি বললেন, তাঁর মঙ্গল তো? তারা বললো, মঙ্গল; দেখ, তাঁর কন্যা রাহেলা ভেড়ার পাল নিয়ে আসছেন।
7. তখন তিনি বললেন, দেখ, এখনও অনেক বেলা আছে; পশুপাল একত্র করার সময় হয় নি; তোমরা ভেড়াগুলোকে পানি পান করিয়ে পুনর্বার চরাতে নিয়ে যাও।
8. তারা বললো, যতক্ষণ পালগুলো একত্র না হয়, ততক্ষণ আমরা তা করতে পারি না; পরে কূপের মুখ থেকে পাথরখানি সরানো হয়; তখন আমরা ভেড়াগুলোকে পানি পান করাই।
9. ইয়াকুব তাদের সঙ্গে এরকম কথাবার্তা বলছেন, এমন সময়ে রাহেলা তাঁর পিতার ভেড়ার পাল নিয়ে উপস্থিত হলেন, কেননা তিনি সেই ভেড়ার পাল চরাতেন।
10. তখন ইয়াকুব তাঁর মামা লাবনের কন্যা রাহেলাকে ও মামার ভেড়ার পালকে দেখামাত্র কাছে গিয়ে কূপের মুখ থেকে পাথরখানি সরিয়ে তাঁর মামা লাবনের ভেড়ার পালকে পানি পান করালেন।
11. পরে ইয়াকুব রাহেলাকে চুম্বন করে জোরে জোরে কাঁদতে লাগলেন।
12. আর তিনি যে তাঁর পিতার আত্মীয় ও রেবেকার পুত্র, ইয়াকুব রাহেলাকে এই পরিচয় দিলে রাহেলা দৌড়ে গিয়ে তাঁর পিতাকে সংবাদ দিলেন।
13. তাতে লাবন তাঁর ভাগ্নে ইয়াকুবের সংবাদ পেয়ে দৌড়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেন। তিনি তাঁকে আলিঙ্গন ও চুম্বন করে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেলেন। পরে ইয়াকুব তাঁকে উক্ত সমস্ত বৃত্তান্ত জানালেন।
14. তাতে লাবন বললেন, তুমি প্রকৃতপক্ষেই আমার অস্থি ও আমার মাংস। পরে ইয়াকুব তাঁর বাড়িতে একমাস বাস করলেন।
15. পরে লাবন ইয়াকুবকে বললেন, তুমি আত্মীয় বলে কি বিনা বেতনে আমার গোলামীর কাজ করবে? বলো কি বেতন নেবে?
16. লাবনের দু’টি কন্যা ছিলেন; জ্যেষ্ঠার নাম লেয়া ও কনিষ্ঠার নাম রাহেলা।
17. লেয়া সুনয়না, কিন্তু রাহেলা রূপবতী ও সুন্দরী ছিলেন।
18. আর ইয়াকুব রাহেলাকে বেশি মহব্বত করতেন, এজন্য তিনি জবাবে বললেন, আপনার কনিষ্ঠা কন্যা রাহেলার জন্য আমি সাত বছর আপনার গোলামীর কাজ করবো।