5. যখন ইস্হাক তাঁর পুত্র ইস্কে এই কথা বলছিলেন তখন রেবেকা তা শুনছিলেন। অতএব ইস্ হরিণ শিকার করে আনবার জন্য প্রান্তরে গমন করলে পর,
6. রেবেকা তাঁর পুত্র ইয়াকুবকে বললেন, দেখ, তোমার ভাই ইস্কে তোমার পিতা যা বলেছেন, আমি শুনেছি;
7. তিনি বলেছেন, তুমি আমার জন্য হরিণ শিকার করে এনে সুস্বাদু খাদ্য প্রস্তুত করো, তাতে আমি ভোজন করে মৃত্যুর আগে মাবুদের সাক্ষাতে তোমাকে দোয়া করবো।
8. হে আমার পুত্র, এখন আমি তোমাকে যা হুকুম করি, আমার সেই কথা শোন,
9. তুমি পালে গিয়ে সেখান থেকে উত্তম দু’টি ছাগলের বাচ্চা আন, তোমার পিতা যেরকম ভালবাসেন, সেই রকম সুস্বাদু খাদ্য আমি প্রস্তুত করে দিই;
10. পরে তুমি তোমার পিতার কাছে তা নিয়ে যাও, তিনি তা ভোজন করুন, যেন তিনি মৃত্যুর আগে তোমাকে দোয়া করেন।
11. তখন ইয়াকুব তাঁর মা রেবেকাকে বললেন, দেখ, আমার ভাই ইস্ লোমশ, কিন্তু আমি লোমহীন।
12. কি জানি, পিতা আমাকে স্পর্শ করবেন, আর আমি তাঁর দৃষ্টিতে প্রবঞ্চক বলে গণ্য হব; তা হলে আমি আমার প্রতি দোয়া ডেকে না এনে বদদোয়া ডেকে আনবো।
13. কিন্তু তাঁর মা বললেন, বৎস, সেই বদদোয়া আমাতেই লাগুক, কেবল আমার কথা শোন, একটি ছাগলের বাচ্চা নিয়ে এসো।
14. পরে ইয়াকুব গিয়ে ছাগলের বাচ্চা এনে মাকে দিলেন, আর তাঁর পিতা যেরকম ভালবাসতেন, মা সেই রকম সুস্বাদু খাদ্য প্রস্তুত করলেন।
15. আর ঘরে তাঁর কাছে জ্যেষ্ঠ পুত্র ইসের যে যে সুন্দর পোশাক ছিল, রেবেকা তা নিয়ে কনিষ্ঠ পুত্র ইয়াকুবকে পরিয়ে দিলেন।
16. আর ঐ দু’টি ছাগলের বাচ্চার চামড়া নিয়ে তাঁর হাতে ও গলদেশের লোমহীন স্থানে জড়িয়ে দিলেন।
17. আর তিনি যে সুস্বাদু খাদ্য ও রুটি তৈরি করেছিলেন তা তাঁর পুত্র ইয়াকুবের হাতে দিলেন।
18. পরে তিনি তাঁর পিতার কাছে গিয়ে বললেন, আব্বা। তিনি জবাবে বললেন, দেখ, এই যে আমি; বৎস, তুমি কে?
19. ইয়াকুব তাঁর পিতাকে বললেন, আমি আপনার জ্যেষ্ঠ পুত্র ইস্; আপনি আমাকে যা হুকুম করেছিলেন, তা করেছি। আরজ করি, আপনি উঠে বসুন এবং আমার আনীত হরিণের গোশ্ত ভোজন করুন, যেন আপনার প্রাণ আমাকে দোয়া করে।
20. তখন ইস্হাক তাঁর পুত্রকে বললেন, বৎস কেমন করে এত শীঘ্র সেটি পেলে? তিনি বললেন, আপনার আল্লাহ্ মাবুদ আমার সম্মুখে শুভফল উপস্থিত করলেন।
21. ইস্হাক ইয়াকুবকে বললেন, বৎস, কাছে এসো; আমি তোমাকে স্পর্শ করে বুঝি, তুমি সত্যিই আমার পুত্র ইস্ কি না।
22. তখন ইয়াকুব তাঁর পিতা ইস্হাকের কাছে গেলে তিনি তাঁকে স্পর্শ করে বললেন, স্বর তো ইয়াকুবের, কিন্তু হাত ইসের হাত।
23. বাস্তবিক তিনি তাঁকে চিনতে পারলেন না, কারণ ভাই ইসের হাতের মত তাঁর হাত লোমযুক্ত ছিল; অতএব তিনি তাঁকে দোয়া করলেন।