17. আর তিনি যে সুস্বাদু খাদ্য ও রুটি তৈরি করেছিলেন তা তাঁর পুত্র ইয়াকুবের হাতে দিলেন।
18. পরে তিনি তাঁর পিতার কাছে গিয়ে বললেন, আব্বা। তিনি জবাবে বললেন, দেখ, এই যে আমি; বৎস, তুমি কে?
19. ইয়াকুব তাঁর পিতাকে বললেন, আমি আপনার জ্যেষ্ঠ পুত্র ইস্; আপনি আমাকে যা হুকুম করেছিলেন, তা করেছি। আরজ করি, আপনি উঠে বসুন এবং আমার আনীত হরিণের গোশ্ত ভোজন করুন, যেন আপনার প্রাণ আমাকে দোয়া করে।
20. তখন ইস্হাক তাঁর পুত্রকে বললেন, বৎস কেমন করে এত শীঘ্র সেটি পেলে? তিনি বললেন, আপনার আল্লাহ্ মাবুদ আমার সম্মুখে শুভফল উপস্থিত করলেন।
21. ইস্হাক ইয়াকুবকে বললেন, বৎস, কাছে এসো; আমি তোমাকে স্পর্শ করে বুঝি, তুমি সত্যিই আমার পুত্র ইস্ কি না।
22. তখন ইয়াকুব তাঁর পিতা ইস্হাকের কাছে গেলে তিনি তাঁকে স্পর্শ করে বললেন, স্বর তো ইয়াকুবের, কিন্তু হাত ইসের হাত।
23. বাস্তবিক তিনি তাঁকে চিনতে পারলেন না, কারণ ভাই ইসের হাতের মত তাঁর হাত লোমযুক্ত ছিল; অতএব তিনি তাঁকে দোয়া করলেন।
24. তিনি বললেন, তুমি কি বাস্তবিকই আমার পুত্র ইস্? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
25. তখন ইস্হাক বললেন, আমার কাছে আন; আমি পুত্রের আনীত হরিণের গোশ্ত ভোজন করি, যেন আমার প্রাণ তোমাকে দোয়া করে। তখন তিনি গোশ্ত আনলে ইস্হাক ভোজন করলেন এবং আঙ্গুর-রস এনে দিলে তা পান করলেন।
26. পরে তাঁর পিতা ইস্হাক বললেন, বৎস, আরজ করি, কাছে এসে আমাকে চুম্বন করো।
27. তখন তিনি কাছে গিয়ে চুম্বন করলেন, আর ইস্হাক তাঁর কাপড়ের গন্ধ নিয়ে তাঁকে দোয়া করে বললেন,দেখ, আমার পুত্রের সুগন্ধমাবুদের দোয়াযুক্ত ক্ষেত্রের সুগন্ধের মত।
28. আল্লাহ্ আসমানের শিশির থেকেও ভূমির সরসতা থেকে তোমাকে দিন;প্রচুর শস্য ও আঙ্গুর-রস তোমাকে দিন।
29. লোকবৃন্দ তোমার গোলাম হোক,জাতিরা তোমাকে ভূমিতে উবুড় হয়েসালাম করুক;তুমি তোমার জ্ঞাতিদের মালিক হও,তোমার ভাইয়েরা তোমাকে ভূমিতেউবুড় হয়ে সালাম করুক।যে কেউ তোমাকে বদদোয়া দেয়,সে বদদোয়াগ্রস্ত হোক;যে কেউ তোমাকে দোয়া করে,সে দোয়াযুক্ত হোক।
30. ইস্হাক যখন ইয়াকুবের প্রতি দোয়া শেষ করলেন, তখন ইয়াকুব তাঁর পিতা ইস্হাকের সম্মুখ থেকে যেতে না যেতেই তাঁর ভাই ইস্ শিকার করে ঘরে আসলেন।
31. তিনিও সুস্বাদু খাদ্য প্রস্তুত করে পিতার কাছে এনে বললেন, আব্বা, আপনি উঠে পুত্রের আনীত হরিণের গোশ্ত ভোজন করুন, যেন আপনার প্রাণ আমাকে দোয়া করে।