22. উটগুলোকে পানি পান করানো হলে পর সেই পুরুষ অর্ধেক তোলা পরিমিত স্ব্বর্ণের নথ এবং দশ তোলা পরিমিত দুই হাতের সোনার বালা নিয়ে বললেন, আপনি কার কন্যা?
23. অনুগ্রহ করে আমাকে বলুন, আপনার পিতার বাড়িতে কি আমাদের রাত্রি যাপনের স্থান আছে?
24. তিনি জবাবে বললেন, আমি সেই বথূয়েলের কন্যা, যিনি মিল্কার পুত্র, যাঁকে তিনি নাহোরের জন্য প্রসব করেছিলেন।
25. তিনি আরও বললেন, খড় ও ভুষি আমাদের কাছে যথেষ্ট আছে এবং রাত্রি যাপনের স্থানও আছে।
26. তখন সেই ব্যক্তি ভূমিতে মাথা ঠেকিয়ে মাবুদকে সেজ্দা করে বললেন,
27. আমার মালিক ইব্রাহিমের আল্লাহ্ মাবুদ ধন্য হোন, তিনি আমার মালিকের সঙ্গে তাঁর অটল মহব্বত প্রকাশ করতে ও বিশ্বস্ততা দেখাতে নিবৃত্ত হন নি; মাবুদ আমাকেও পথ দেখিয়ে আমার মালিকের জ্ঞাতিদের বাড়িতে আনলেন।
28. পরে সেই কন্যা দৌড়ে গিয়ে তাঁর মায়ের বাড়ির লোকদেরকে এসব কথা জানালেন।
29. রেবেকার লাবন নামে এক ভাই ছিলেন; তিনি বাইরে ঐ ব্যক্তির উদ্দেশে কূপের কাছে দৌড়ে গেলেন।
30. নথ ও বোনের হাতে বালা দেখে এবং সেই ব্যক্তি আমাকে এই এই কথা বললেন, আপন বোন রেবেকার মুখে এই কথা শুনে, তিনি সেই পুরুষের কাছে গেলেন, আর দেখ, তিনি কূপের কাছে উটগুলোর কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
31. তখন লাবন বললেন, হে মাবুদের দোয়ার পাত্র, আসুন, কেন বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন? আমি তো আপনাদের ঘর এবং উটগুলোর জন্যও স্থান প্রস্তুত করেছি।
32. তখন ঐ ব্যক্তি বাড়িতে প্রবেশ করে উটগুলোর আচ্ছাদন খুলে তিনি উটগুলোর জন্য পোয়াল ও কলাই দিলেন এবং তাঁর ও তাঁর সঙ্গী লোকদের পা ধোবার পানি দিলেন।
33. পরে তাঁর সম্মুখে খাদ্যদ্রব্য রাখা হল, কিন্তু তিনি বললেন, আমার কথা না বলে আমি আহার করবো না। লাবন বললেন, বলুন।
34. তখন তিনি বলতে লাগলেন, আমি ইব্রাহিমের গোলাম;
35. মাবুদ আমার মালিককে অনেক দোয়া করেছেন, এতে তিনি ধনবান হয়েছেন এবং মাবুদ তাঁকে ছাগল-ভেড়া ও গরুর পাল এবং রূপা ও সোনা, গোলাম ও বাঁদী, উট ও গাধা দিয়েছেন।
36. আমার মালিকের স্ত্রী সারা বৃদ্ধকালে তাঁর জন্য একটি পুত্র প্রসব করেছেন, তাঁকেই তিনি তাঁর সর্বস্ব দিয়েছেন।
37. আমার মালিক আমাকে কসম করিয়ে বললেন, আমি যাদের দেশে বাস করছি, তুমি আমার পুত্রের জন্য সেই কেনানীয়দের কোন কন্যা এনো না;