8. পরে বালকটি বড় হয়ে স্তন্য পান ত্যাগ করলো; আর যেদিন ইস্হাক স্তন্য পান ত্যাগ করলো, সেদিন ইব্রাহিম মহাভোজ প্রস্তুত করলেন।
9. একদিন মিসরীয়া হাজেরা ইব্রাহিমের জন্য যে পুত্র প্রসব করেছিল, সারা তাকে পরিহাস করতে দেখলেন।
10. তাতে তিনি ইব্রাহিমকে বললেন, তুমি ঐ বাঁদীকে ও ওর পুত্রকে দূর করে দেও; কেননা আমার পুত্র ইস্হাকের সঙ্গে ঐ বাঁদীর পুত্র ওয়ারিশ হবে না।
11. এই কথায় ইব্রাহিম তাঁর পুত্রের বিষয়ে ভীষণ অসন্তুষ্ট হলেন।
12. আর আল্লাহ্ ইব্রাহিমকে বললেন, ঐ বালকের বিষয়ে ও তোমার ঐ বাঁদীর বিষয়ে অসন্তুষ্ট হয়ো না; সারা তোমাকে যা বলছে, তার সেই কথা শুন; কেননা ইস্হাকের বংশই তোমার বংশ বলে আখ্যাত হবে।
13. আর ঐ বাঁদীর পুত্র হতেও আমি একটি জাতি উৎপন্ন করবো, কারণ সে তোমার বংশজাত।
14. পরে ইব্রাহিম খুব ভোরে উঠে রুটি ও পানিতে পূর্ণ একটি কুপা নিয়ে হাজেরার কাঁধে দিলেন এবং বালকটিকে তার হাতে দিয়ে তাকে বিদায় দিলেন। তাতে সে প্রস্থান করে বের্-শেবা মরুপ্রান্তরে ঘুরে বেড়াতে লাগল।
15. পরে কুপার পানি শেষ হলে পর সে একটি ঝোপের নিচে বালকটিকে ফেলে রাখল;
16. আর সে নিজে তার সম্মুখ থেকে অনেকটা দূরে, অনুমান এক তীর দূরে গিয়ে বসলো, কারণ সে বললো, বালকটির মৃত্যু আমি দেখব না। আর সে তার সম্মুখ থেকে দূরে বসে চিৎকার করে কাঁদতে লাগল।
17. তখন আল্লাহ্ বালকটির কান্নার আওয়াজ শুনলেন; আর আল্লাহ্র ফেরেশতা আকাশ থেকে ডেকে হাজেরাকে বললেন, হাজেরা, তোমার কি হল? ভয় করো না, বালকটি যেখানে আছে, আল্লাহ্ সেই স্থান থেকে ওর কান্নার আওয়াজ শুনলেন;
18. তুমি উঠে বালকটিকে তুলে নেও; কারণ আমি ওকে একটি মহাজাতি করবো।
19. তখন আল্লাহ্ তার চোখ খুলে দিলেন, তাতে সে পানিতে পূর্ণ একটি কূপ দেখতে পেল, আর সেখানে গিয়ে কুপাতে পানি পূর্ণ করে বালকটিকে পান করাল।