9. আর মাবুদ আল্লাহ্ ভূমি থেকে সব জাতের সুদৃশ্য ও সুখাদ্যদায়ক গাছ এবং সেই বাগানের মধ্যস্থানে জীবন-বৃক্ষ ও নেকী-বদী-জ্ঞানের বৃক্ষ উৎপন্ন করলেন।
10. আর বাগানে সেচ দেবার জন্য আদন থেকে একটি নদী বের হল এবং সেটি সেখান থেকে বিভক্ত হয়ে চারটি শাখানদীতে বিভক্ত হল।
11. প্রথম নদীর নাম পীশোন; এই নদীটি সমস্ত হবীলা দেশ বেষ্টন করে,
12. সেখানে সোনা পাওয়া যায়, আর সেই দেশের সোনা উত্তম এবং সেই স্থানে গুগ্গুল ও গোমেদমণি জন্মে।
13. দ্বিতীয় নদীর নাম গীহোন; এই নদীটি সমস্ত কূশ দেশ বেষ্টন করে।
14. তৃতীয় নদীর নাম হিদ্দেকল; এটি আশেরিয়া দেশের সম্মুখ দিয়ে প্রবাহিত হয়। চতুর্থ নদীর নাম ফোরাত।
15. পরে মাবুদ আল্লাহ্ আদমকে নিয়ে আদন বাগানের কৃষিকর্ম করার ও তা রক্ষা করার জন্য সেখানে রাখলেন।
16. আর মাবুদ আল্লাহ্ আদমকে এই হুকুম দিলেন, তুমি এই বাগানের সমস্ত গাছের ফল স্বচ্ছন্দে ভোজন করো;
17. কিন্তু নেকী-বদী-জ্ঞানের বৃক্ষের ফল ভোজন করো না, কেননা যেদিন তার ফল খাবে সেদিন মরবেই মরবে।
18. আর মাবুদ আল্লাহ্ বললেন, মানুষের একাকী থাকা ভাল নয়, আমি তার জন্য তার অনুরূপ সহকারিণী সৃষ্টি করবো।
19. আর মাবুদ আল্লাহ্ মাটি থেকে যে সব বন্য পশু ও আসমানের পাখি সৃষ্টি করেছিলেন, আদম তাদের কি কি নাম রাখবেন তা জানতে সেগুলোকে তাঁর কাছে আনলেন। তখন আদম যে জীবন্ত প্রাণীর যে নাম রাখলেন সেটির সেই নাম হল।
20. আদম যাবতীয় গৃহপালিত পশুর, আসমানের পাখির ও যাবতীয় বন্য পশুর নাম রাখলেন, কিন্তু মানুষের জন্য তাঁর অনুরূপ কোন সহকারিণী পাওয়া গেল না।