9. তখন তারা বললো, সরে যা। আরও বললো, এ একাকী প্রবাস করতে এসে আমাদের বিচারকর্তা হয়েছে! এখন তাদের চেয়ে তোর প্রতি আরও দুর্ব্যবহার করবো। এই বলে তারা লূতের উপরে ভীষণ চড়াও হয়ে দরজা ভাঙ্গতে গেল।
10. তখন সেই দুই ব্যক্তি হাত বাড়িয়ে লূতকে ঘরের মধ্যে নিজেদের কাছে টেনে নিয়ে দরজা বন্ধ করলেন;
11. আর বাড়ির দরজার নিকটবর্তী ছোট ও বড় সমস্ত লোককে অন্ধতায় আহত করলেন; তাতে তারা দরজা খুঁজতে খুঁজতে পরিশ্রান্ত হল পড়লো।
12. পরে সেই ব্যক্তিরা লূতকে বললেন, এই স্থানে তোমার আর কে কে আছে? তোমার জামাতা ও পুত্র-কন্যা যত জন এই নগরে আছে, তাদের সকলকে এই স্থান থেকে নিয়ে যাও।
13. কেননা আমরা এই স্থান ধ্বংস করে ফেলব; কারণ মাবুদের সাক্ষাতে এই লোকদের বিরুদ্ধে ভীষণ কান্নাকাটি উঠেছে, তাই মাবুদ এই শহর উচ্ছিন্ন করতে আমাদেরকে পাঠিয়েছেন।
14. তখন লূত বাইরে গিয়ে, যারা তাঁর কন্যাদেরকে বিয়ে করবে বলে ঠিক হয়েছিল, তাঁর সেই ভাবী জামাতাদেরকে বললেন, উঠ, এই স্থান থেকে বের হও, কেননা মাবুদ এই নগর ধ্বংস করে ফেলবার জন্য তৈরি হয়ে আছেন। কিন্তু তাঁর জামাতারা তাঁকে উপহাসকারী বলে জ্ঞান করলো।
15. পরে প্রভাত হলে সেই ফেরেশতারা লূতকে তাড়া দিলেন, বললেন, উঠ, তোমার স্ত্রীকে ও এই যে কন্যা দু’টি এখানে আছে, এদেরকে নিয়ে যাও, অন্যথায় এই নগরের উপর যে গজব নেমে আসছে তাতে তোমরাও বিনষ্ট হবে।
16. কিন্তু তিনি ইতস্ততঃ করতে লাগলেন; তাঁতে তাঁর প্রতি মাবুদের করুণার জন্য সেই ব্যক্তিরা তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর ও কন্যা দু’টির হাত ধরে নগরের বাইরে নিয়ে গেলেন।
17. এভাবে তাঁদেরকে বের করে তিনি লূতকে বললেন, প্রাণ রক্ষার জন্য পালিয়ে যাও, পিছনের দিকে দৃষ্টিপাত করো না; এই সমস্ত অঞ্চলের মধ্যেও দাঁড়িয়ে থেকো না; পর্বতে পালিয়ে যাও, তা না হলে বিনষ্ট হবে।
18. তাতে লূত তাঁদেরকে বললেন, হে আমার মালিক, এমন না হোক।
19. দেখুন, আপনার গোলাম আপনার কাছে অনুগ্রহ লাভ করেছে; আমার প্রাণ রক্ষা করে আপনি আমার প্রতি আপনার মহাদয়া প্রকাশ করেছেন; কিন্তু আমি পর্বতে পালিয়ে যেতে পারব না; কি জানি, সেই বিপদ এসে পড়লে আমিও মারা পরবো।
20. দেখুন, পালাবার জন্য ঐ নগরটি নিকটবর্তী, সেটি ক্ষুদ্র; ওখানে পালাবার অনুমতি দিন, তা হলে আমার প্রাণ বাঁচবে; সেটি কি ক্ষুদ্র নয়?
21. তিনি বললেন, ভাল, আমি এই বিষয়েও তোমার অনুরোধ রক্ষা করলাম। ঐ যে নগরের কথা বললে, আমি সেটি উৎপাটন করবো না।
22. শীঘ্রই ঐ স্থানে পালিয়ে যাও, কেননা তুমি ঐ স্থানে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমি কিছু করতে পারি না। এজন্য সেই স্থানের নাম সোয়র (ক্ষুদ্র) হল।
23. দেশের উপরে সূর্য উদিত হলে লূত সোয়রে প্রবেশ করলেন,
24. এমন সময়ে মাবুদ নিজের কাছ থেকে, আসমান থেকে, সাদুমের ও আমুরার উপরে গন্ধক ও আগুন বর্ষিয়ে সেই সমুদয় নগর,
25. সমস্ত অঞ্চল, নগরের সমস্ত লোক ও সেই ভূমিতে জাত সমস্ত বস্তু উৎপাটন করলেন।
26. আর লূতের স্ত্রী তাঁর পিছনে পড়ে পিছন দিকে দৃষ্টিপাত করলো, আর লবণস্তম্ভ হয়ে গেল।
27. আর ইব্রাহিম খুব ভোরে উঠে আগে যে স্থানে মাবুদের সাক্ষাতে দাঁড়িয়েছিলেন, সেখানে গমন করলেন;
28. এবং সাদুম ও আমুরার দিকে ও সেই অঞ্চলের সমস্ত ভূমির দিকে চেয়ে দেখলেন, আর দেখ, ভাটির ধোঁয়ার মত সেই দেশের ধোঁয়া উঠছে।