17. তাতে মাবুদ বললেন, আমি যা করবো, তা কি ইব্রাহিমের কাছ থেকে লুকাবো?
18. ইব্রাহিমের মধ্য থেকে মহান ও বলবান একটি জাতি উৎপন্ন হবে এবং দুনিয়ার সমস্ত জাতি তার মধ্য দিয়েই দোয়া লাভ করবে।
19. কেননা আমি তাকে মনোনীত করেছি, যেন সে নিজের ভাবী সন্তানদেরকে ও পরিবারদেরকে হুকুম করে, যেন তারা ধর্মসঙ্গত ও ন্যায্য আচরণ করতে করতে মাবুদের পথে চলে; এভাবে মাবুদ যেন ইব্রাহিমের বিষয়ে কথিত নিজের কালাম সফল করেন।
20. পরে মাবুদ বললেন, সাদুম ও আমুরার বিরুদ্ধে ভীষণ কান্নাকাটি হচ্ছে এবং তাদের গুনাহ্ অতিশয় ভারী;
21. আমি নিচে গিয়ে দেখব, আমার কাছে আগত কান্নাকাটি অনুসারে তারা সর্বতোভাবে করেছে কি না; যদি না করে থাকে তাও জানতে পারবো।
22. পরে সেই ব্যক্তিরা সেখান থেকে ফিরে সাদুমের দিকে গমন করলেন; কিন্তু ইব্রাহিম তখনও মাবুদের সম্মুখে দাঁড়িয়ে রইলেন।
23. পরে ইব্রাহিম কাছে গিয়ে বললেন, আপনি কি দুষ্টের সঙ্গে ধার্মিককেও সংহার করবেন?
24. সেই নগরের মধ্যে যদি পঞ্চাশ জন ধার্মিক পাওয়া যায়, তবে আপনি কি সেখানকার পঞ্চাশ জন ধার্মিকের অনুরোধে সেই স্থানের প্রতি দয়া না করে তা বিনষ্ট করবেন?
25. দুষ্টের সঙ্গে ধার্মিকের বিনাশ করা, এই রকম কাজ আপনার কাছ থেকে দূরে থাকুক; ধার্মিককে দুষ্টের সমান করা আপনার কাছ থেকে দূরে থাকুক। সমস্ত দুনিয়ার বিচারকর্তা কি ন্যায়বিচার করবেন না?