16. আর আমি তাকে দোয়া করবো এবং তার মধ্য থেকে একটি পুত্রও তোমাকে দেব; আমি তাকে দোয়া করবো, তাতে সে অনেক জাতির (আদিমাতা) হবে, তার মধ্য থেকে লোকবৃন্দের বাদশাহ্গণ উৎপন্ন হবে।
17. তখন ইব্রাহিম সেজ্দায় পড়ে হাসলেন, মনে মনে বললেন, শতবর্ষ বয়স্ক পুরুষের কি সন্তান হবে? আর নব্বই বছর বয়স্কা সারা কি প্রসব করবে?
18. পরে ইব্রাহিম আল্লাহ্কে বললেন, ইসমাইলই তোমার গোচরে বেঁচে থাকুক।
19. তখন আল্লাহ্ বললেন, তোমার স্ত্রী সারা অবশ্য তোমার জন্য পুত্র প্রসব করবে এবং তুমি তার নাম ইস্হাক (হাস্য) রাখবে। আর আমি তার সঙ্গে আমার নিয়ম স্থাপন করবো, তা তার ভাবী বংশের পক্ষে চিরস্থায়ী নিয়ম হবে।
20. আর ইসমাইলের বিষয়েও তোমার মুনাজাত শুনলাম; দেখ, আমি তাকে দোয়া করলাম এবং তাকে ফলবান করে তার অতিশয় বংশবৃদ্ধি করবো; তা থেকে বারো জন বাদশাহ্ উৎপন্ন হবে ও আমি তাকে বড় জাতি করবো।
21. কিন্তু আগামী বছরের এই ঋতুতে সারা তোমার জন্য যাকে প্রসব করবে, সেই ইস্হাকের সঙ্গে আমি আমার নিয়ম স্থাপন করবো।
22. পরে কথাবার্তা শেষ করে আল্লাহ্ ইব্রাহিমের কাছ থেকে ঊর্ধ্বগমন করলেন।
23. পরে ইব্রাহিম তাঁর পুত্র ইসমাইলকে ও নিজের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছে এমন লোক ও মূল্য দ্বারা ক্রয় করা সকল লোককে, ইব্রাহিমের বাড়িতে যত পুরুষ ছিল, তাদের সকলকে নিয়ে আল্লাহ্র হুকুম অনুসারে সেই দিনে তাদের খৎনা করালেন।
24. ইব্রাহিমের যখন খৎনা করানো হল সেই সময় তাঁর বয়স হয়েছিল নিরানব্বই বছর।